বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য উদ্বিগ্ন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্য যারা আটক রয়েছেন তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার অনুযায়ী আচরণ করা হবে বলেও প্রত্যাশা করে দেশটি। বৃটিশ ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এর দক্ষিণ এশিয়া, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ একথা জানান।
জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের বিষয়ে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৬ই ডিসেম্বর একটি চিঠি লিখেছিলেন যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের প্রতিষ্ঠান নিউ হোপ গ্লোবাল এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই। ওই চিঠির জবাবে গত ২২শে ডিসেম্বর লর্ড তারিক আহমেদ এমন কথা বলেন।
যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এবং মানবাধিকার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে চিঠির জবাব দিচ্ছেন উল্লেখ করে লর্ড তারিক আহমেদ লিখেছেন:
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য উদ্বিগ্ন। মানবাধিকারের দিক থেকে ফরেন, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিস (FCDO) এর জন্য বাংলাদেশ অগ্রাধিকার দেশের তালিকায় রয়েছে এবং আমরা নিয়মিতভাবে আমাদের মানবাধিকার সংক্রান্ত উদ্বেগগুলো বাংলাদেশ সরকারের কাছে উত্থাপন করে থাকি যার মধ্যে আটক ব্যক্তিদের চিকিৎসার বিষয়টিও রয়েছে।
এ বিষয়ে ২০২০ সালের ৮ই জুলাই প্রকাশিত ফরেন, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিসের মানবাধিকার রিপোর্ট পড়ে দেখতে চিঠির সঙ্গে একটি লিংকও সংযুক্ত করেন লর্ড তারিক আহমেদ।
https:/www.gov.uk/government/publications/human-rights-and-democracy-report-2020
প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগতভাবে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সরকারকে, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্বের ওপর জোর দিতে থাকবে জানিয়ে লর্ড তারিক আহমেদ লিখেছেন, আমরা আশা করি, মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের যে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার রয়েছে, খালেদা জিয়াসহ অন্য যারা আটক রয়েছেন তাদের সঙ্গে সে অনুযায়ী আচরণ করা হবে।
আটক ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার সততা ও স্বাধীনতার বিষয়ে আমরা নিয়মিত বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে থাকি। আমরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আশ্বস্ত হতে চাওয়ার বিষয়টিও অব্যাহত রাখবো।
গেল নভেম্বর মাসে নিজের বাংলাদেশ সফরের স্মৃতিচারণ করে লর্ড তারিক আহমেদ লিখেছেন: ওই সময় আমি বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করে মানবাধিকারের প্রতি গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করি।
এসব উদ্বেগ উত্থাপনে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে এবং একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য সকল প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানাবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, লর্ড তারিক আহমেদ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ১৪ই নভেম্বর ঢাকা সফরে এসেছিলেন। ওই সফরে তিনি ঢাকা-লন্ডনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেন। তিনি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবেও নিয়োজিত রয়েছেন।
FORHAD
১৩ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১২:০৭Uddeg janiea kono lab ney UK ucith hove Sorkarer Upor chap deya jate Bangladehs er gonotontro,Manobadikar,Ainer sason niscit howa jay!!!