বিভিন্ন সময় গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আসক এ অভিযোগ করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্র থেকে আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানতে পেরেছে যে, বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কিছুদিন ধরে নানাভাবে যোগাযোগ করছেন। নানা ধরনের প্রশ্ন বা তথ্য জানতে চাওয়ার মাধ্যমে তাদের হয়রানি করছেন। একইসঙ্গে পরিবারগুলোর কাছ থেকে জোর করে লিখিত কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যেখানে লেখা রয়েছে, উক্ত ব্যক্তি গুমের শিকার হননি, তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
এতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন আচরণ সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকা এসব ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা ও জড়িতদের চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা জোরদার করার পরিবর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের তৎপরতা অগ্রহণযোগ্য। গুমের শিকার এসব পরিবার দীর্ঘ সময় ধরে স্বজনদের ফেরার প্রতীক্ষায় রয়েছেন।
প্রতিটি মুহূর্ত তারা নানা নিরাপত্তাহীনতা আর ভীতির মধ্যে রয়েছেন, এভাবে তাদের হয়রানি করার ফলে তারা আরও বেশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। এ ধরনের তৎপরতা প্রকৃতপক্ষে গুমের শিকার ব্যক্তিদের খোঁজার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলছে।
আসক দীর্ঘদিন ধরে বলে এসেছে যে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার না করে সেগুলো আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালানো আবশ্যক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের আচরণ প্রকৃতপক্ষে দেশের নাগরিকদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার খর্ব করছে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি খর্ব হওয়ার পথ তৈরি করছে।