× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাবি’র সাবেক অধ্যাপক খুন

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ও ঢাবি প্রতিনিধি
১৫ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

নিখোঁজের দুইদিন পর গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সাঈদা খালেকের মরদেহ। গতকাল তার বাসার পাশের বাউন্ডারি ওয়ালের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। তার নাম আনারুল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, মূলত টাকা ছিনিয়ে নিতে বাধা দেয়া ও চিৎকার করায় আনারুল তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। দু’দিন আগে গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন নিহতের মেয়ে সাহিদা আফরিন।
পুলিশ জানায়, নিহত সাইদা খালেক কাশিমপুরের পাইনশাইল এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। একই এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন প্রকল্পে নিজের একটি ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজ করাচ্ছিলেন তিনি।
সেখানে কাজ করে আনারুল নামের রাজমিস্ত্রি। ওই মিস্ত্রি সাইদা খালেকের হাত থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। তখন তিনি টাকা নিতে বাধা প্রদান ও চিৎকার দিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
কাশিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক দীপঙ্কর রায় জানান, অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আনারুলকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনারুল গাইবান্ধা জেলা সাদুল্লাপুর থানার বুজর্গ জামালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। নিহত সাইদা খালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক কিবরিয়া উল খালেকের স্ত্রী।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাইনশাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি আবাসন প্রকল্প আছে। সেখানে তিনি বাড়ি তৈরি করছিলেন। প্রকল্পের পাশেই তিনি বাসা ভাড়া করে থাকতেন। তিনদিন আগে থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেছেন, আবাসন প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত কর্মচারী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমরা পুলিশ সূত্রে জানতে পেরেছি। পুলিশ ইতিমধ্যে তাকে আটক করেছে। ঘাতকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে টাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশ আমাদেরকে জানিয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।
গত ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছিলেন সাইদা খালেক। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর