× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যেখানে প্রয়োজন সেখানেই সরকার তদবির চালাবে

প্রথম পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৫ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। দেশের স্বার্থে যেখানে তদবিরের প্রয়োজন হবে, সেখানেই সরকার তদবির চালাবে। গতকাল সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে (বিলিয়া) এক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ বিজিআর নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়। র?্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নতুন করে লবিস্ট নিয়োগ করবে কি না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি এসব বলতে পারবো না। আমেরিকার চর্চা এটি (লবিস্টদের কাজ)। এটা বোধহয় ২০১৩-১৪ সালে করেছিল এবং ওরা কাজ করে। প্রত্যেক দেশেই...আমাদের দেশে আমরা তদবির বলি।
ওই দেশে বলে প্রাতিষ্ঠানিক তদবির। যেখানে তদবির দরকার, সেখানে আমরা চালাবো। দেশেও তো কাজ করতে গেলে অনেক সময় তদবির লাগে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ই ডিসেম্বর র?্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র?্যাব) এবং প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সময়-সময় আমাদের অনেক ধরনের দুর্যোগ আসে। আমরা সেগুলো সমাধান করি। এখনো একটা হয়তো অসুবিধা আসছে। কিন্তু আমরা এটা সমাধান করতে পারবো। আমেরিকানরা পরিপক্ক জাতি। তারা দেখবে। যদিও র?্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমেছে। এটা তাদের নিরপেক্ষ সমীক্ষা। সেগুলো নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করবে। পৃথিবীজুড়ে সন্ত্রাস দূর করা ও সন্ত্রাসীদের ধরা তাদের লক্ষ্য। মাদক ও মানব পাচার কমানো তাদের লক্ষ্য। র?্যাব এগুলো সফলভাবেই করছে। এ কারণেই র?্যাব জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমার মনে হয় সবাই এটা বুঝবে। তখন হয়তো অবস্থার পরিবর্তন হবে। মন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক কারণে এ দেশ সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্রে অনেক ধাক্কা আসে। সব গণতন্ত্রেই অপরিপূর্ণতা আছে। এটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা দিনে দিনে পরিপক্কতা অর্জন করেছি। আমেরিকা পরিপক্কতা অর্জন করার মধ্যেও ধাক্কা খায়। এ ধরনের ধাক্কাটাক্কা আসে। কোথাও দুর্বলতা থাকলে আমরা অবশ্যই তা দূর করার চেষ্টা করবো।
এর আগে কনফারেন্সের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ আসার পরে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে মানবিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমাদের মাস্ক পরতে হচ্ছে। ভ্যাকসিনেশন ছাড়া রেস্টুরেন্টে যাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এই নতুন প্রেক্ষিতে সভ্যতার যে নিয়ম-কানুন এগুলো প্রশ্ন তৈরি করছে। নতুন কোনো আইন ছাড়াই আমরা নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছি। এতে করে মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত আসছে। এই যে সারা দুনিয়াজুড়ে যে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে সেটাকে কীভাবে আইনের মধ্যে আনা যাবে এখানে বিলিয়া’র অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর