× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাক্ষাৎকার / করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেবে কমানোর পথ নেই

প্রথম পাতা

মরিয়ম চম্পা
১৫ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অণুজীব বিজ্ঞানী ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল। মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ড. বিজন বলেন, আমরা ইতিমধ্যে লক্ষ্য করেছি কীভাবে জ্যামিতিক হারে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। নিস্বন্দেহে দেশে সংক্রমণটা বাড়বে। এটা কমানোর কোনো পথ নেই। গত দশদিনে আমাদের দেশে সংক্রমণের হার ১ থেকে ১০ শতাংশে বেড়েছে। এমনভাবে ভাইরাসটি আমাদের এখানে ছড়িয়ে পড়েছে যা নিয়ন্ত্রণে আনা খুব কঠিন। ইতিমধ্যে ইউরোপীয়ানরা বলছে, ভাইরাসটিকে যেন আমরা আলিঙ্গন করি। যেহেতু আমাদের আর বিকল্প পথ নেই।
এটা আসবেই। সুতরাং এটাকে মেনে নেয়াই ভালো। তবে যত কম সংক্রমিত হয় তত ভালো।
ড. বিজন কুমার শীল বলেন, মৃত্যুহার এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা যেহেতু সারা পৃথিবীতেই কম হচ্ছে এ জন্য এই নতুন ভাইরাসটি ‘ভারে কাটছে’ কিন্তু ‘ধারে কাটতে’ পারেনি। অর্থাৎ এটা মানুষের ফুসফুসকে বেশি আক্রান্ত করতে পারছে না। অন্যদিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মানুষের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি দুটোই বাড়িয়েছে। সে হিসেবে বলা যায়, ইনফেক্‌শন তো হবেই। তারপরে আমাদের এন্টিবডিটা যদি ভালো আসে এবং হাসপাতালে যাওয়া না লাগে তাহলে এটা অনেকটাই আমাদের সবার জন্য সুখবর। কিন্তু সাবধানতার মার নেই।
বাংলাদেশে সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে। ভারতীয় চিকিৎসকরা ইতিমধ্যে বলছেন, এটা হামের চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট একজন থেকে আটজনকে আক্রান্ত করতে পারে এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যেখানে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ৫-৬ জনকে সংক্রমিত করতো। তিনি বলেন, আমার মনে হয় না এটি মিজলসের মতো এত বড়। তবে মাঝামাঝি ধরলে এ রকম হবে। সে হিসেবে এই ভাইরাসটি যেভাবে ছড়াচ্ছে শীতের সময় এটি বাতাসের মাধ্যমে বিশেষ করে এয়ার কন্ডিশনে এটা বেশি ছড়াতে পারে। তাছাড়া এই শীতের সময় মানুষ সবচেয়ে বেশি কাছাকাছি থাকছে। এতে করে সংক্রমণটা আরও দ্রুত ছড়ায়। এই ভাইরাসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে আঘাত করছে। এটা এই ভাইরাসের মারাত্মক একটি ক্যারেক্টার। এজন্য এর বিস্তারটা খুব দ্রুত হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে শুধু আমাদের দেশেই নয় সমগ্র পৃথিবীতে একটি বিশাল অংশের মানুষ আক্রান্ত হয়ে যাবে। এই অণুজীব বিজ্ঞানী আরও বলেন, এপ্রিল মাসের পর থেকে সংক্রমণ কমতে থাকবে। আমার ধারণা যদি ভুল না হয় তাহলে সেপ্টেম্বরের দিক থেকে আমরা মোটামুটি এই পেন্ডেমিক থেকে এন্ডেমিকে (স্থানীয় পরিসরে) নেমে যাবো। তখন পেন্ডেমিক আর থাকবে না। এর ব্যাখাটি হচ্ছে, গত দুই বছরে কিন্তু বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট এসে আমাদের মধ্যে যে এন্টিবডি তৈরি করেছে সেটা যথেষ্ট শক্ত অন্য যেকোনো ভ্যারিয়েন্টকে রোধ করার জন্য। ড. বিজন আরও বলেন, আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টাডি যেটা শোনা গেছে, আফ্রিকান গবেষকরা বলছেন যারা ওমিক্রন থেকে সেরে উঠছেন তাদের রক্তে যে এন্টিবডি আছে সেটা ডেল্টাকেও ইউটিলাইজ করতে পারে। যেখানে ডেল্টা সবচেয়ে মারাত্মক ভ্যারিয়েন্ট। গবেষকদের এই গবেষণা যদি সত্যি হয় তাহলে পরবর্তী যে ভ্যারিয়েন্টগুলোই আসুক  সেটা কিন্তু এই এন্টিবডিকে খুব বেশি অতিক্রম করতে পারবে না। ওমিক্রন মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে ড. বিজন বলেন, এখন আমি যেটা মনে করি নিয়মিত মাস্কপরাটা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। একাধিক লেয়ারের তৈরি সুতি কাপড়ের মাস্ক এক্ষেত্রে অনেক ভালো এবং সাশ্রয়ী। যেটা এক থেকে দু’দিন অন্তর ধুয়ে পুনরায় পরা যাবে। এটাকে কোনোভাবে বাদ দেয়া যাবে না। তবে দূরত্ব বজায় রাখা খুব কঠিন। কারণ, আমরা যতই বলি না কেন মানুষ দূরত্ব বজায় রাখবে না। শীতে হাত বেশি ধুতে না চাইলে বাজারে যে এলকোহলের স্প্রেগুলো আছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া সরকার মাস্ক পরতে উৎসাহী এবং বিধিনিষেধ আরোপ করেছে একটি ভালো পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন এই অণুজীব বিজ্ঞানী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Professor Dr, Mohamm
১৫ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ২:২৫

অমিক্রন সম্পর্কে অণুজীব বিজ্ঞানী ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল এর আগে আমাদের অভয় বানী দিয়েছিলেন যে এটা মারাত্মক নাও হতে পারে । খুশী হলাম যে তাঁর অবস্থানের পরিবর্তন করেছেন । বস্তুতপক্ষে, ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ঝড়ের গতিতে বাড়ছে এবং েই মুহূর্তে দৈনিক আক্রান্তের হার ১৬.৬৬ শতাংশ। সাথে সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হিসেবে ৪০২ জন প্রাণ হারিয়েছেন একুনে ভারতে সরকারি হিসেবে মোট ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭৫২ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে । তবে, বেসরকারি হিসেবে এর সংখ্যা ৩৪ লাখের মত । এমতবস্থায় , আমরা যদি শুধু মাত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে থাকি তা মনে হয় সঠিক হবে না । বাক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সহ সর্বদা অজুর সাথে থাকলে হয়ত আমরা মৃত্যুর হার কমাতে পারব বলে আমার বিশ্বাস । যে ভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে ভারতে দৈনিক তিন লক্ষ করোনা সংক্রমণের ছুঁতে খুব বেশি দিন সময় লাগবে না। এবং জানুয়ারির শেষে সংক্রমনের সংখ্যা দৈনিক ১০ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। ১৯১৫ সালের মত ভারতের মহারাষ্ট্র দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে । আমাদের যেহেতু গা ছাড়া ভাব , ভারত সাথে আমাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া উচিত। অন্যথায় , করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলানো যাবে না । তবে ভয় না পেয়ে আসুন আমরা সাহসের সাথে এই মহামারীকে মোকাবেলা করি । আল্লাহ্‌ আমাদের আমাদের হেফাজত করুন । আমিন।

ক্ষুদিরাম
১৫ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ১১:১১

করোনায় আতংকিত না হয়ে বরং করোনাকে করুণা করতে শিখুন। নিশ্চিত করোনা আপনার কোনই ক্ষতি করতে পারবেনা। আপনি ভয় পান তাই সে আপনাকে দুর্বল ভাবে। আর যাকে দূর্বল লাগে তাকে আঘাত করতেও বেশ মজাই লাগে। করোনা সে কর্মটিই করছে। আপনি সাহসী হোন আপনার এ্যান্টিবডিও তাহলে শক্তিশালী হবে। তখন করোনা পরাজিত হবে আপনার এ্যান্টবডির কাছে। আপনি ভীতু বলেই আপনার এ্যান্টিবডিও দূর্বল আর তাই আপনার এ্যান্টীবডি পরাজিত হয় করোনার কাছে। বুকে সাহস রাখুন অদম্য বিশ্বাস রাখুন ঈস্বরের উপর, তিনি সে রোগ দেননা যেটা থেকে আরোগ্য সম্ভব নয়। তিনি এতো রুড় নন। অতয়েব ঈশ্বরের উপর আস্থা রাখুন নিজেকে তার উপর সমর্পন করে আপনার বিশ্বাসকে শক্তিশালী করুন। আপনার বিশ্বাসের শক্তির কাছে করোনার শক্তি কিছুইনা, এটা যত দ্রুত বুঝবেন তত দ্রুতই আরোগ্য। লকডাউন কোন কিছুর সমাধান নয় বরং লকডাউন নতুন নতুন আপোদ আর বিপদ বারায়। সতর্কতার জন্য কেবলমাত্র মাস্ক পরুন আর সম্ভব হলে সাবান দিয়ে একটু বেশিবেশী হাত ধুন, করোনাও ধুয়েমুছে যাবে। ঈশ্বর সবার সহায় হোন !

SJ
১৫ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ২:৪৩

বিশ্বে গবেষণা সংস্থা আছে কিন্তু উপযুক্ত গবেষক নেই। মানবের বিচক্ষন ক্ষমতা অতিতের চেয়ে বর্তমানে অনেক কম। করোনা নিয়ে মানব যত যুক্তি দিয়েছে করোনা তার উল্টোটাই করেছে। মানব কোন ভাবেই ক্ষমতা রাখে না ভবিষ্যৎ নিয়ে সঠিক কথা বলার । যদিও মানুষ বলে তবে তাহা সঠিক হবার নয় । করোনা সেই দিন ই কমবে যে দিন বিশ্বে নতুন কোন রোগের আবিস্কার হবে । ইহা বেতিত বিশ্ব গবেষক করোনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না । করোনা টেস্ট মেশিন অত্যন্ত দুর্বল ভাবে আবিস্কার করা হইছে। এই মেশিন অতীত এক হাজার বছর পূর্বে আবিষ্কৃত হলে তখনও বিশ্বে করোনা রুগী পাওয়া যেত ।

Kazi
১৪ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ১:৩৯

তাহলে কি ওমিক্রন করোনার প্রতিষেধক হিসাবে আল্লাহ প্রদত্ত ব্যবস্থা ?

অন্যান্য খবর