× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৩৫,০০০ ফুট উপরে জন্ম নিল মিরাকল আয়শা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ১৫, ২০২২, শনিবার, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

৩৫,০০০ ফুট উপরে বিমানে থাকা অবস্থায় একটি ‘মিরাকল’ শিশু জন্মদানে সহায়তা করে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন কানাডার একজন ডাক্তার। তিনি ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো’র প্রফেসর ডা. আয়শা খতিব। দোহা থেকে তিনি কাতার এয়ারওয়েজে করে ফিরছিলেন এনতেবে’তে। উগান্ডাগামী ওই ফ্লাইটে ছিলেন একজন অভিবাসী উগান্ডান নারী। তিনি সৌদি আরব থেকে ফিরছিলেন দেশে। কিন্তু মাঝপথেই তার প্রসববেদনা ওঠে। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, ৩৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। প্রসববেদনা ওঠার ফলে বিমানের ইন্টারকমে ঘোষণা হয়, কোনো ডাক্তার আছেন কিনা ওই ফ্লাইটে।


এমন আহ্বানে তিনি ছুটে যান। ওই নারীকে সন্তান প্রসবে সহায়তা করেন। সুস্থ করে তোলেন ওই শিশু ও মাকে। এ আনন্দ তাকে আপ্লুত করে। তিনি সেই আনন্দ সবাইকে বলে বেড়াচ্ছেন। ওদিকে ফ্লাইটে জন্ম নেয়া শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ডা. আয়শা খতিবের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ‘মিরাকল আয়শা’।
ডাক্তার আয়শা বলেন, ফ্লাইটে কোনো ডাক্তার আছেন কিনা এমন ঘোষণা হলো ইন্টারকমে। আমি দেখলাম একজন রোগীকে ঘিরে ছোট একটা জটলা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি পরিস্থিতি এমন জটিল যে, তা একটি হার্টএটাকের মতো। আমি এগিয়ে গেলাম। দেখলাম একজন নারী শুয়ে আছেন। জানালার দিকে তার পা। একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হচ্ছে। আমাকে সহায়তা করলেন আরো দু’জন যাত্রী। তাদের একজন গাইনি বিভাগের একজন নার্স এবং অধিকার বিষয়ক সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের একজন শিশু বিশেষজ্ঞ।

তিনি বলেন, শিশুটি মারাত্মকভাবে কাঁদছিল। তাকে ভূমিষ্ঠ করানো হলো। দ্রুততার সঙ্গে তাকে চেক করার জন্য শিশু বিষয়ক বিশেষজ্ঞের কাছে দেয়া হলো। দেখে মনে হলো, শিশুটি ভাল আছে। সুস্থ আছে। আমি তার মায়ের দিকে দৃষ্টি দিলাম। তিনিও সুস্থ আছেন। আমি জোরে বলে উঠলাম- আপনাকে অভিনন্দন। একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আমার ঘোষণায় পুরো বিমানের যাত্রীরা হাততালি দিয়ে উঠলেন। আনন্দ করলেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, মা তার শিশুটির নাম আমার নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলেন। তিনি মনে করলেন এটা তার কন্যাসন্তানের নামের জন্য একটি উপহার। তিনি মেয়ের নাম রাখলেন মিরাকল আয়শা।

এ অবস্থায় নিজের গলায় থাকা স্বর্ণের চেন মিরাকল আয়শার গলায় পরিয়ে দেন ডাক্তার আয়শা। এতে আরবীতে তার নাম লিখা ছিল আয়শা। ডাক্তার আয়শা বলেন, আমি চেনটি তাকে দিয়ে দিলাম। নিল নদের ৩৫ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় জন্ম নিয়েছে সে। তাই এটা হলো তার জন্য আমার ছোট্ট উপহার।
এ ঘটনা ঘটেছে গত ৫ই ডিসেম্বর। এর আগে ডাক্তার আয়শা টরন্টোতে কোভিড আক্রান্তদের সেবা দেয়ায় ব্যস্ত ছিলেন। উগান্ডা থেকে তার ডাক পড়েছে। ফিরছিলেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Emon
১৪ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ১০:০৩

Tears well up in my eyes as I read the good news in the midst of so much bad news

অন্যান্য খবর