বুড়িগঙ্গার মতো করুণ পরিণতির হাত থেকে মেঘনা নদীকে বাঁচাতে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। বলেছেন, অবিলম্বে মেঘনা নদীর দখল ও দূষণ রোধ করতে না পারলে অল্প সময়ের মধ্যে মেঘনা নদীও বুড়িগঙ্গার মতো হয়ে যাবে। তাই দূষণের তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের মেঘনা নদী বাঁচানোর উদ্যোগ নিতে হবে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পরিবেশ ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (ইআরপিডিএফ) আয়োজিত ‘মেঘনা নদীর দখলরোধ ও পাড় সংরক্ষণ’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচএম সুমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের ওয়াটার রিসোর্স এক্সপার্ট সাজিদুর রহমান সরদার, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ মেঘনা পোর্ট পরিচালক মোবারক হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা সহকারি পরিচালক হায়াত মাহমুদ রাকিব, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও অত্র ফাউন্ডেশনের আইন উপদেষ্টা এডভোকেট লায়ন এমএ মজিদ, এডভোকেট শিব্বির আহমদ ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন।
বক্তারা বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী একটি গ্রুপ অব কোম্পানি নদীর ৮৫ একর জমি দখল করেছে। এখনই নদী দখল রোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে মেঘনা নদীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কষ্ট হবে বলে আলোচনা উঠে আসে।
পরিবেশ ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নদীর অধিকার নদীকে ফিরিয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।