লিওনেল মেসি প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসিজ) যাওয়ার পর ক্লাবটির আয় বেড়েছে বহুগুণ। মেসির প্রভাবে এখন পর্যন্ত নতুন ৮টি স্পন্সর পেয়েছে ফরাসি জায়ান্টরা। এ খবর দিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম- ইএফই।
বেতন-ভাতা বাবদ মেসির পেছনে প্রতি বছর ৮০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হবে পিএসজির। তবে যা নিচ্ছেন তার চাইতেও বেশি দিচ্ছেন মেসি! পিএসজির স্পন্সরশিপ ডিরেক্টর মার্ক আর্মস্ট্রং বলেন, ‘২০২১ সালে আমাদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয় বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় সেটি ১০ শতাংশ বেশি।’ ২০২০-এ বিজ্ঞাপন ক্ষেত্র থেকেই পিএসজির আয় ছিল ২৩৫ মিলিয়ন ইউরো। যা মোট রেভেনিউ-এর ৫৪ শতাংশ। ২০২১ সালে অঙ্কটা আরো বাড়বে।
গত ১০ই আগস্ট মেসিকে দলে ভেড়ায় পিএসজি। এরপর ৫ মাসে ৮টি স্পন্সর যুক্ত হয়েছে ক্লাবটির সঙ্গে। খেলাধুলা সামগ্রী প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড ‘নাইকি’র সঙ্গে চুক্তি ২০৩২ পর্যন্ত। শুধু নাইকির কাছ থেকেই প্রতি বছর ৭৫ মিলিয়ন ইউরো পাবে ক্লাবটি। সম্প্রতি পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত বাড়িয়ে নিয়েছে বিশ্বখ্যাত কোমলপানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা। বিজ্ঞাপন বাজার তো বটেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ‘মেসি প্রভাব’। ১৫ মিলিয়ন নতুন অনুসারী পেয়েছে পিএসজি। ফ্রান্সের শীর্ষ ফুটবল আসর লিগ ওয়ানের ব্রডকাস্টিং স্বত্বও বেড়েছে। মেসি প্যারিসে যাওয়ার আগে তুলনামূলক কম টাকায় বিক্রি হতো লিগ ওয়ানের সম্প্রচার স্বত্ব।
ইএফই’র এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে ২০২১ সালে ১০ লাখ জার্সি বিক্রি হয়েছে পিএসজির। আগের বছরের তুলনায় পরিমাণটা কয়েকগুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে মেসির কারণে বিক্রি বেড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ।
যদিও মাঠের মেসিতে খুব একটা উপকৃত হতে পারছে না পিএসজি। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ৬ গোল আর ৫ অ্যাসিস্ট মেসির। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর খেলতে পারেননি দলের সবশেষ তিন ম্যাচে। চোট আর অসুস্থতার কারণে চলতি মৌসুমে মাত্র ১৬ ম্যাচে মাঠে নামতে পেরেছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।