× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

শিক্ষাঙ্গন

শাবি প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ১৫, ২০২২, শনিবার, ১১:১৬ অপরাহ্ন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবির উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আন্দোলনে সংহতি জানাতে যাওয়া ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীদের হাত থেকে তাদের বাঁচাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন আন্দোলনরত কয়েকজন ছাত্রী।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃন্ময় দাস ঝুটনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান, আশরাফ কামাল আরিফ, সজিবুর রহমান, রিশান তন্ময়, মাহবুবুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, শফিউল হক রাব্বি প্রমুখ এ হামলা চালায়।

তবে, হামলার বিষয় ছাত্রলীগনেতারা অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান বলেন, রোগীবাহী একটি এম্বুলেন্সকে পথ করে দিতে গেলে আন্দোলনকারীরা বাধা দেয়। তখন এ নিয়ে একটু হইচই হয়েছে তবে মারামারির ঘটনা ঘটে নি। আর ছাত্রলীগের কেউ ছিল না।

প্রক্টর আলমগীর কবির সাংবাদিকদের বলেন, একটি এম্বুলেন্সকে পথ করে দিতে সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থী যান। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এম্বুলেন্স যেতে বাধা দিলে একটু হাতাহাতি হয়।

আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সাদিয়া বলেন, প্রথমে একটা এম্বুলেন্স আসলে আমরা সেটাকে পথ করে দিই।
পরবর্তীতে আরেকটা এম্বুলেন্স আসলে আমরা সেটাকেও পথ করে দিই। কিন্তু এম্বুলেন্সের পেছনে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলরতদের মাঝে ঢুকে পড়ে।

 তিনি অভিযোগ করে বলেন, এসময় তারা কয়েকজন ছাত্রীকে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনে সংহতি জানাতে আসা ১০-১২ জন ছাত্রকে তারা বেধড়ক মারধর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ দিকে রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দাবির বিষয়ে কথা বলেন এবং দাবি মানার বিষয়ে আশ্বাস দেন। তবে শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট কমিটির এখনই পদত্যাগ ঘোষণা ও ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবি জানান। এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের বলেন, প্রভোস্টের পদত্যাগ এখনই সম্ভব নয়, বিষয়টি একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।

এ নিয়ে শুক্রবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর