নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ঘিঞ্জি পরিবেশে চলছে ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ৩ হাজার ৪৫৭টি। অথচ আড়াই ঘণ্টায় কেন্দ্রটিতে ভোট পড়েছে মাত্র ২৮৫টি। মোট ভোটের ৮ শতাংশ ভোট হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রটিতে ভোটারদের সিরিয়াল মেইনটেইন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। জায়গা স্বল্পতা থাকায় সিরিয়াল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। অনেক ভোটার কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন দীর্ঘ সময় ধরে। ভেতরে একজন ভোটারের ভোট দিতে সময় লাগছে অন্তত ১০ মিনিট।
ইভিএম মেশিনে সমস্যা থাকায় ভোটগ্রহণ বিলম্ব হচ্ছে।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘিঞ্জি পরিবেশ থাকায় তারা লাইন ধরে দাঁড়াতে পারছেন না। আবার লম্বা লাইন পেরিয়ে ভোট কক্ষে যাওয়ার পর সেখান থেকে বলা হচ্ছে তাদের সিরিয়াল অন্যকক্ষে। কিন্তু অন্যকক্ষে যাবার পর ঢুকতেই দেয়া হচ্ছে না। আবার লাইনের শেষে দাঁড়ানোর কথা বলা হচ্ছে।
রুহান নামের এক ভোটার বলেন, সকাল আটটায় ভোট দিতে এসেছি। আনসারদের কথামত লাইনে দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে একটি কক্ষে যাওয়ার দোতলায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার নিচে পাঠানো হয়। এভাবে প্রায় দুই ঘণ্টায় ভোট দিয়েছি। তিনি বলেন, আমি আর আমার মা একই সময়ে এসেছি। আমি ভোট দিতে পারলেও আমার মা ১২টার আগে ভোট দিতে পারবেন না।
রেহেনা বেগম নামের ভোটার বলেন, সকালে এসেছি। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারি নাই। এক লাইন থেকে আরেক লাইন। এক কক্ষ থেকে আরেক কক্ষে যেতে যেতে এত সময় গেলো। করোনার মধ্য মানুষের ঠাসাঠাসিতে অস্বস্তি লাগছে।
সরজমিন দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে ভোটারের চাপে পা ফেলার অবস্থা নাই। পুরুষ ও নারী ভোটাররা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। ভেতরে ভোটগ্রহণ বিলম্বিত হওয়াতে ঘন্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভোটাররা। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ। অনেকের মুখে মাস্ক নাই।
প্রিজাইডিং অফিসার নুরুল ইসলমাম বলেন, কেন্দ্রে ভোটার বেশি। ৩ হাজার ৪৫৭ ভোটের মধ্য পুরুষ ১ হাজার ৬৬৫ জন আর মহিলা ১ হাজার ৭৯২ জন। পুরুষের তুলনায় মহিলা বেশি। মোট ৯টি কক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। মেশিনে সমস্যা ছিল কিন্তু সমাধান করা হয়েছে। এতে করে ভোটগ্রহণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ইভিএমে ভোটগ্রহণে সময় বেশি লাগে তাই ভোট এখন পর্যন্ত কম পড়েছে।
তিনি বলেন, এই কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এখন পর্যন্ত কোন ঝামেলা বাধেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত অবস্থানে আছে।