× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কাউন্সিলর লাটিম ও ঠেলাগাড়ি প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ১৬, ২০২২, রবিবার, ১২:২৩ অপরাহ্ন
ছবিঃ শাহিন কাওসার

নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে লাটিম ও ঠেলাগাড়ি প্রতীকের (কাউন্সিলর) সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের বন্দর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে ভোটাররা ভয়ে কেন্দ্র ছেড়ে যায়।

২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ লাটিম ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউসার ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। সাইফুদ্দিন আহমেদ এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। ঠেলাগাড়ি প্রতীকের আবুল কাউসারের বাবা সাবেক সাংসদ আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি।

উপস্থিত সাধারণ মানুষরা জানান, লাটিম প্রতীকের কয়েকজন সমর্থক কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছিলেন। এ সময় ঠেলাগাড়ি পক্ষের একজন সমর্থক তা নিয়ে পুলিশের কাছে আপত্তি জানালে লাটিম প্রতীকের সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
পরে পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কেন্দ্রের বাইরে থাকা ভোটাররা ভয় পেয়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়।

ঠেলাগাড়ি প্রতীকের এক সমর্থক মো. দীপু বলেন, পুলিশ এখানে পক্ষপাতিত্ব করছিলেন। তাদের সামনেই লাটিমের লোকজন কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে নারী ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছিলেন। তারা কেন্দ্রের বাইরে এবং ভেতরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে। আমরা সেটার প্রতিবাদ জানিয়েছি। তখনই তারা (লাটিম সমর্থকরা) আমাদের উপর হামলা করেছে।

লাটিমের সমর্থক শাহিন আহমেদ বলেন, ঠেলাগাড়ির সমর্থকরা জামায়াত শিবিরের লোক। ওরা কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল।

এই কেন্দ্রের তথ্য মতে, হাজি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুরুষ ও নারী ভোটারদের আলাদা দুটি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৯৯১ জন ভোটার। কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। দেড় ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারেননি বলে কয়েজন নারী ভোটার অভিযোগ করেছেন। প্রথম তিন ঘন্টায় নারী কেন্দ্রের তিনটি কক্ষে ১ হাজার ২২৬ জন ভোটারের মধ্যে ২১২ জন ভোট দিয়েছেন।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, হাতাহাতির কোন ঘটনা ঘটেনি। ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হচ্ছে। ইভিএম পদ্ধতি নতুন হওয়ায় কিছুটা ধীরগতিতে ভোট হচ্ছে।

কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শোভন ভট্টাচার্য বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়েছে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। পরে স্ট্রাইকিং ফোর্স এসে কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর