× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মার্কিন কারাগারে কেমন আছেন পাকিস্তানি বিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকী!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ১৬, ২০২২, রবিবার, ১:০৩ অপরাহ্ন

পাকিস্তানি বিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকী। সন্ত্রাসের অভিযোগে, আল কায়েদার অপারেটিভ হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জেল খাটছেন। তবে তার সমর্থক অনেকে মনে করেন, তিনি নিরপরাধ। তাকে অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ম্যানহাটানের এক আদালতে ২০১০ সালে তাকে অভিযুক্ত করে ৮৬ বছরের জেল দেয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, তিনি চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কর্মকর্তাদের গুলি করা হোক। এ অভিযোগে অভিযুক্ত করার দু’বছর আগে তাকে আটক করা হয়েছিল আফগানিস্তান থেকে। এখন কেমন আছেন আফিয়া সিদ্দিকী! এ জিজ্ঞাসা অনেকের।

এ প্রশ্নের উত্তর দিতে একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এপি।
এতে বলা হয়েছে, আফিয়া সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা গুরুত্বর। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ অভিযোগ মারাত্মক। কিন্তু তার সমর্থকরা ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর আফিয়া সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থা অতি উৎসাহী হয়ে কাজ করেছে বলে মনে করেন।

আফিয়া সিদ্দিকীর পক্ষে তার এক ভাইয়ের নিয়োগ করা আইনজীবী হিসেবে লড়াই করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেয়ার-হাউজটন বোর্ড চেয়ার জন ফ্লয়েড। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, যে ঘটনার জন্য তার মক্কেলকে দায়ী করা হয়েছে, তার জন্য তার মক্কেল আফিয়া মোটেও দায়ী নন। ড. আফিয়া, তার পরিবার এবং ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচারণায় সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। আমরা টেক্সাসের কোলিভিলেতে কংগ্রেগেশন বেথ ইসরাইলের জিম্মি দশার তীব্র নিন্দা জানাই। একটি উপাসনালয়ে ইহুদিবিরোধী হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং প্রত্যাশা করছি আইন প্রয়োগকারী কর্র্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে জিম্মিদের মুক্ত করতে সক্ষম হবে এবং তাদেরকে নিরাপত্তা দেবে।

তাছাড়া ড. আফিয়ার জন্য আমরা যারা ন্যায়বিচার চাই, তাদেরকে এর মধ্য দিয়ে অবমাননা করা হচ্ছে। পরিবার এবং ড. আফিয়ার পক্ষে আমরা অবিলম্বে জিম্মিদের মুক্তি দাবি করছি।
আফিয়া সিদ্দিকী পাকিস্তানি একজন স্নায়ুবিজ্ঞানী। পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত প্রতিষ্ঠান ব্রান্ডিস ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাচাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার কয়েক বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃংখলা রক্ষাকারীদের মনোযোগ আকৃষ্ট হয় তার প্রতি। এফবিআই এবং বিচার বিভাগ তাকে আল কায়েদার একজন অপারেটিভ এবং মদতদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের মে মাসে। সে সময় তারা সংবাদ সম্মেলন করে গোয়েন্দাদের সতর্ক করে। বলা হয়, সামনের মাসগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছে আল কায়েদা।

২০০৮ সালে তাকে আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষ আটক করে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, তারা ড. আফিয়ার হাতের লেখা নোট পেয়েছেন তার সঙ্গে। তাতে ‘ডার্টি বোম্ব’ বা ভয়াবহ ক্ষতিকর বোমা তৈরি নিয়ে আলোচনা ছিল বলে তাদের অভিযোগ। আরও বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানের উল্লেখ ছিল ওই নোটে। এসব স্থানকে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির জন্য হামলার টার্গেট করা হয়ে থাকতে পারে। আফগানিস্তানের পুলিশ কম্পাউন্ডের ভিতরে এক সাক্ষাতকারে কর্তৃপক্ষ বলে যে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন সেনা কর্মকর্তার এম-৪ রাইফেল কেড়ে নেন আফিয়া এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মার্কিন যে টিম দায়িত্বে ছিল তাদের প্রতি গুলি চালান।

এসব অভিযোগে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা চেষ্টা। শাস্তি ঘোষণার শুনানিতে তিনি বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার বাণী দিয়ে গেছেন। বিচারকদের ক্ষমা করে গেছেন। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে লঘু শাস্তি দেয়ার জন্য তার আইনজীবীরা আহ্বান জানান। এতে নিজের আইনজীবীদের প্রতি তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি মানসিক ভারসাম্যহীন নই। ওই বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই।

যুক্তরাষ্ট্রে ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে শাস্তি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা। এতে দেশটির বহু শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়। মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। ওই সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইউসুফ রাজা গিলানি। তিনি ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে ‘ডটার অব দ্য নেশন’ বা জাতির কন্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তাকে জেল থেকে মুক্ত করার প্রচারণা চালানোর প্রত্যয় ঘোষণা করেন। পরের বছরগুলোতে পাকিস্তানি নেতারা তাকে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তা কোনো ফল বয়ে আনেনি।

টেক্সাসের ডালাস ফোর্ট-ওয়ার্থে কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্সের নির্বাহী পরিচালক ফাইজান সাঈদ বলেন, তার গ্রুপটি মনে করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মধ্যে আফিয়াকে আটক করা হয়েছে। তিনি একজন রাজনৈতিক বন্দি। তাকে ত্রুটিপূর্ণ তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ভুলভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি জিম্মিদশার নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, কাউকে জিম্মি করা অন্যায়। হায়েনার কাজ। এর ফলে ড. আফিয়াকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা পুরোপুরি বিঘিœত হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত মিলিট্যান্টদের পক্ষ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন ড. আফিয়া। সিরিয়ায় প্রশিক্ষণ নিয়ে টেক্সাস ফেরার পরিকল্পনা করেছিল ওহাইওর একজন ব্যক্তি।

সে স্বীকার করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছিল সে। একই সঙ্গে ফেডারেল জেলে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এই জেলেই ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত করতে চেয়েছিল ওই ব্যক্তি। তার নাম আব্দি রহমান শেখ মোহামুদ। ২০১৮ সালে তাকে ২২ বছরের জেল দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে আটক রাখা হয়েছে টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থে একটি ফেডারেল জেলে। সেখানকার একজন বন্দি তার ওপর গত জুলাইয়ে হামলা করেছিল। এতে মারাত্মক আহত হয়েছেন আফিয়া। এ জন্য ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজন্সের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আফিয়া সিদ্দিকীর আইনজীবীরা বলেছেন, অন্য একজন বন্দি গরম এক মগ কফি আফিয়ার মুখের ওপর ছুড়ে মেরে ওই মগটি ভেঙে ফেলেছে। এ সময় তিনি কুঁকড়ে যান।

তখন অন্য একজন নারী তাকে ঘুষি ও লাথি মারে। এতে আফিয়া মারাত্মক আহত হন। তিনি এতটাই আহত হন যে, তাকে হুইলচেয়ারে করে জেলখানার মেডিকেল ইউনিটে নিতে হয়েছে। ড. আফিয়ার চোখের চারপাশ পুড়ে যায়। তার বাম চোখের কাছে তিন ইঞ্চি পরিমাণ স্থানে ক্ষত দেখা দেয়। তার বাহুতে এবং পায়ে থেঁতলে যাওয়ার দাগ হয়ে যায়। তার চিবুকে ক্ষত দেখা দেয়।

এ ঘটনায় মানবাধিকার কর্মী ও ধর্মীয় অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো সোচ্চার হয়ে ওঠে। তারা জেলখানার পরিবেশ উন্নত করার দাবি জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে তাকে মুক্ত করতে মার্কিন সরকারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
nasir uddin
২২ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ৩:৪৭

It is surprising to think that. Malala, a Pakistani high school student from Oz Para, staged a play with a little girl. How many dramas are taking America to that ignorant girl. And Dr. Afia Siddiqui has got 144 degrees in the most expensive university in America. The reason for bringing a money laundering allegation against such a woman. Can't find However, I heard that he was a memorizer of the Qur'an and was very pious. Maybe that's his big crime. Malala Yousafzai, on the other hand, is an ignorant girl from Oz Para but she is against Islam.

মোঃ মাহবুব আলম
১৭ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ৪:১৬

আলকায়দা আমেরিকার নিজস্ব প্রয়োজনে সৃষ্টি করা একটি গ্রুপের নাম। এটা আজ প্রকাশের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে বিশ্ববাসীর নিকট। কিন্তু আশ্চর্য হবার মতোই বিষয় ইটা যে আফিয়া সিদ্দিকীকে আলকায়দার সন্দেহভাজন বা সম্পৃক্ত হিসাবে দোষী সাব্যস্ত করার মাধ্যমেই অপরাধী আক্ষা দেওয়া হলো। বিশ্বের অনেক দেশেই আজ এই পথটি একটি উত্তম রাস্তা হয়েছে বোকাদের আরও বোকা বানাতে। এই পথটি অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা হয় না বিশ্বব্যপী। শুধু বোকাদেরই আরও বোকা বানানোর কাজে ব্যবহার হয়। এখন সংঘঠিত না হয়ে সমাধানের কোনো প্রকার রাস্তা আবিস্কার হবে বলে আমার মনে হয় না। কারন এই পথে মানুষকে বা একজন মুসলমানকে বিচ্ছিন্ন করার কাজটাই মুলত করা হয়। কখনো সংঘঠিত করে না বা সংগঠিত হবার নয়। এবং সংগঠিত হয়েই দন্ড মওকুফের পথে হাটার ফলে মুক্তির পথ আবিষ্কার হবার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রথমত নিজ দেশ পাকিস্তানে ঐক্য তৈরী করুন, তবেই পথ আবিষ্কার সজহ হবে। ধন্যবাদ।

shirajumazumder
১৬ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ৮:০৩

Impartially telling this if Dr Afia is detected as a criminal by the judge of criminal court after hearing or on the basis of real evidence there s nothing to say against it .Because of every one honor upon justice due to their fare judgement. But a simple appeal to the honorable authority WHY Dr . is assaulted by the prisoner . Specially It s never be expected from AMIRICANS constitution be cause it is full of Law. She is a female either give her capital punishment's or pardon her not strike her by the prisoner

আফিয়া সিদ্দিকী এক জস
১৬ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ৪:৪৩

তার মুক্তি কামনা করছি।

Munir Hossain
১৬ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ৩:১৯

ভাবতে অবাক লাগে যে। মালালা নামের হাই স্কুল পড়ুয়া পাকিস্তানি অজ পাড়া গায়ের এক পিচ্চি মেয়েকে দিয়ে নাটক সাজিয়ে। সেই জাহেল মেয়েকে আমেরিকা কুলে তুলে নিয়ে কত নাটক করছে। আর ডঃ আফিয়া সিদ্দিকী আমেরিকার সব চাইতে নামি দামি বিশব্বিদ্যালয়ে পরেছে ১৪৪ ডিগ্রি পেয়েছে। এমন একজন মহিলার উপর বিত্তহীন বানুয়াট অভিযোগ আনার কারণ। খুজে পাচ্ছি না। তবে শুনেছি সে কুরআনের হাফেজ এবং খুবই ধার্মিক ছিলেন। হয়তো এটাই তার বড় অপরাধ। আর পক্ষান্তরে মালালা ইউসুফ জাই অজ পাড়া গায়ের এক জাহেল মেয়ে হলেও সে গোর ইসলাম বিরুদি।

Munir Hossain
১৬ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ১:৪৫

ডাঃ আফিয়া সিদ্দিকীর জন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ ওনাকে যেন আমেরিকার এই জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে এবং মৃত্যুর পরে তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করে। আমিন

অন্যান্য খবর