× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলকাতা কথকতা /অভিষেককে সরকারিভাবে দু’নম্বর করতে দলের সংবিধান বদল করে তৈরি হচ্ছে ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টের পদ

কলকাতা কথকতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ১৬, ২০২২, রবিবার, ৫:০১ অপরাহ্ন

তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ডি ফ্যাক্টো দলে মমতা বন্দোপাধ্যায় এর পরেই তাঁর জায়গা। কিন্তু, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়-এর পদটি মনোনীত, তিনি নির্বাচিত নন। এবার তাঁর জন্য জায়গা তৈরি করতে তৃণমূল তাদের তিন দশকের সংবিধান বদলাচ্ছে। নতুন পদের সৃষ্টি হতে চলেছে, ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট। মমতা অসুস্থ হলে, বাইরে কোথাও গেলে কিংবা অন্যত্র কোনো কাজে ব্যাস্ত থাকলে ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট তাঁর কাজ চালাবেন। প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক এভাবেই চিত্রনাট্য সাজিয়েছে। আর এতেই তৃণমূলের শান্ত সমুদ্রে ঝড় উঠেছে।
দলের বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতার এভাবে সংবিধান সংশোধন করে নতুন পদ সৃষ্টির বিষয়ে আপত্তি আছে। দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় তো কার্যত অভিষেককে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, ওঁর নেতৃত্ব মানি না। আগে গোয়া, ত্রিপুরা জিতে দেখাক। পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ও সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সরব হন। দুজনেই কল্যাণকে বিদ্ধ করেন। অভিষেকের ভাই, মমতার আর এক ভাইপো আকাশ বন্দোপাধ্যায় লেখে, শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়। ফেসবুকে কার্যত ক্যাম্পেইন শুরু হয়। পাল্টা ক্যাম্পেইনও দেখা যায় ফেসবুকে- শ্রীরামপুর কল্যাণকেই চায়। তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা নানা ধরণের বক্তব্য বলে জটিলতা তৈরি করেন। অনেকেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না। এই অবস্থায় ফেব্রুয়ারি-মার্চে তৃণমূলের বার্ষিক সাধারণ সভার দিকেই নজর সকলের। ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট পদে অভিষেক প্রার্থী হলে তৃণমূলের আর কেউ যে প্রার্থী হবেন না তা নিশ্চিত। তবে, ঘটনাটি সবাই মেনে নিতে পারছেনা। অভিষেক দায়িত্বভার পেলে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, চোখ রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর