× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাদারীপুরে ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে ফসলি জমি

বাংলারজমিন

মাদারীপুর প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার

মাদারীপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা। অধিকাংশ ইটভাটাই কৃষি জমি দখল করে গড়ে উঠছে। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশে। ভাটার আগ্রাসনে দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। ফলে দিন দিন ফসল উৎপাদন কমছে। স্থানীয়দের অভিযোগ কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না ইটভাটার মালিক। ইটভাটায় কাঠ ব্যবহার করার কারণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির বৃক্ষ।
পরিবেশ হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে ইটভাটা মালিকরা। জানা যায়, মাদারীপুর জেলার মোট এক লাখ ১২ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমির মধ্যে ৮০ হাজার হেক্টর জমি কৃষিজমি হিসেবে চিহ্নিত। এরমধ্যে অতি উর্বর এক ফসলি জমি ১০ হাজার ৬৭৯ হেক্টর, দুই ফসলি জমি ৪৯ হাজার ৭২৬ হেক্টর, তিন ফসলি জমি ২০ হেক্টর ১২৪ হেক্টর ও চার ফসলি ২৫০ হেক্টর। মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ‘কৃষি ও কৃষিজমি নষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইটভাটা। এ ছাড়া ভাটার দূষণ ও বিরূপ প্রভাবে আশপাশের জমির ফসলহানি হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি ফসলি জমি নষ্ট হয় এমন স্থানে যেন ইটভাটার লাইসেন্স দেয়া না হয়।’
মাদারীপুর জেলায় বৈধ-অবৈধ ইটভাটার তথ্য চেয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত করা হলেও তারা তথ্য দেয়নি। তবে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলায় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার অধিকাশ ভাটাই অবৈধ। ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা আছে কৃষি জমিতে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। শুধু তা-ই নয়, ওই আইনে বলা হয়েছে নির্ধারিত সীমারেখার (ফসলি জমি) এক কিলোমিটারের মধ্যেও কোনো ইটভাটা করা যাবে না। তাছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ভাটা মালিকরা লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ইট প্রস্তুতে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে জানান, সম্প্রতি স্থানীয় ইটভাটা মালিকরা জোরপূর্বক তাদের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়েছেন।
মাদারীপুর ইটভাটা শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পদক মিলন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ ভাটাতেই এখন আর কাঠ পোড়ানো হয় না। তবে কয়েকটি ভাটায় কাঠ পোড়ানো হয়। বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসককে জানালে তিনি এসব ভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি। এখন এসব ভাটায় দেদারছে জ্বলছে কাঠ। ইটভাটা মালিক শিল্প সমিতির পক্ষ থেকেও কাঠ পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ এদিকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘কোনো কৃষি জমি নষ্ট করে ইটভাটা করা যাবে না। আইনগতভাবে এটা নিষিদ্ধ। অবৈধ ইটভাটা থাকলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর