জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ৬নং আদারভিটা ইউনিয়নে শত্রুতার জের ধরে এক কৃষকের সেচ পাম্পের সংযোগ লাইন বিচ্ছন্ন করে দেয়া হয়েছে। এ সময় ওই কৃষকের ফসলি জমিতে সেচের পানি নিষ্কাশনের নালাটিও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
একই গ্রামের আব্দুর জব্বার (৬৫) তার নিজ ফসলি জমিসহ এই সেচ পাম্পের মাধ্যমে আশেপাশের কৃষকদের ৫ একর জমিতে দীর্ঘদিন ধরে সেচের পানি সরবরাহ করে আসছেন। আসন্ন ইরি মৌসুমে তিনি যখন আবাদি জমিতে সেচ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় তার প্রতিবেশী তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক মো. জিল্লুর রহমান কাউকে না জানিয়ে আব্দুর জব্বারের পল্লী বিদ্যুতের বৈধ সেচ পাম্প সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ সময় তিনি তার ক্ষেতে পানি দেয়ার জন্য নির্মিত পানি নিষ্কাশন নালাটিও গুঁড়িয়ে ফেলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ঢাকায় কর্মরত আব্দুর জব্বারের ছেলে কামরুল হাসান এলাকায় ছুটে আসেন। এ ব্যাপারে আদারভিটা ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. আলী জিন্নাহ খলিল, কৃষক লীগ নেতা মো. ফজলুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য মো. আতাউর রহমান, কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, জিল্লুর রহমান সপরিবারে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করে আসছেন। তার সঙ্গে এলাকার কোনো মানুষের সুসম্পর্ক নেই। তারা অভিযোগ করে বলেন, জিল্লুর রহমান প্রতিবেশীদের চলাচলের রাস্তটিও বন্ধ করে দিয়েছেন।
আসন্ন ইরি মৌসুমে সবাই যখন ক্ষেতে সেচ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঠিক সেই সময় কৃষক আব্দুল জব্বারের সঙ্গে তার এমন আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
এ ব্যাপারে মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী সুরাইয়া বেগম ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তিনি বলেন, আমার জমির উপর দিয়ে আব্দুল জব্বারের সেচ পাম্পের সংযোগ তারটি প্রবাহিত। তার সংযোগ তারটি কে কেটে দিয়েছি সে সম্পর্কে আমি অবহিত নই। তিনি আরও বলেন, আমার জমির উপর দিয়ে তার সেচ পানি নিষ্কাশনের নালাটি তৈরি করা হয়েছে, তাই সেটিও আমি কেটে দিয়েছি। পরে তার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া কানন এই প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন, এ বিষয় নিয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ করা হলে আপনার সমস্যা হবে। ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলতাফুর রহমান আতা বলেন, এই দুই পরিবারের মধ্যকার দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। তাদের মধ্যকার বিরোধ মেটাতে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।