× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লজ্জার হারেই শেষ রুটদের দুঃস্বপ্নের সফর

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার

ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন, সিডনি হয়ে হোবার্ট। সিডনি বাদে প্রতিটি ভেন্যুতে একই দৃশ্যপট- অজিদের দাপট, ইংলিশদের অসহায় আত্মসমর্পণ। হোবার্টে ডে-নাইট টেস্টে ইংল্যান্ডের ১৪৪ রানের বড় হারে হলো যার শেষটা। ৪-০তে সিরিজ জিতে অ্যাশেজের মর্যাদার ছাইদানি আরও কিছুদিনের জন্য নিজেদের কাছে রেখে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। গতকাল ম্যাচের পর ইংলিশ অধিনায়ক রুটের কথার শুরুটাই বিষাদমাখা, ‘এটা ছিল আমাদের জন্য হতাশায় মোড়ানো কঠিন এক সফর।’ চার বছর আগেও অস্ট্রেলিয়া থেকে ৪-০তে সিরিজ হেরে বাড়ি গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় শেষ ১৫ টেস্টে একটিও জয় দেখেনি ক্রিকেটের জনকরা। আর জো রুটের অধীনে গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে ১৪ ম্যাচে মাত্র একটি জিতেছে ইংল্যান্ড। চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের অবস্থান একেবারে তলানিতে।
৯ ম্যাচে ইংলিশদের অর্জন মাত্র ১০ পয়েন্ট। ৫ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া রয়েছে দুই নম্বরে।
হোবার্টে গল্পটা এমন নাও হতে পারতো। মার্ক উডের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে (৬/৩৭) দ্বিতীয় ইনিংসে অজিদের ১৫৫ রানে গুটিয়ে ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড। ২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এক পর্যায়ে রুটদের স্কোর ছিল ৬৮/০। সেখান থেকে অল আউট ১২৪ রানে! ২৩ রানে শেষ ৬ উইকেট খোয়ায় ইংল্যান্ড। প্যাট কামিন্স, স্কট বোল্যান্ড ও ক্যামেরন গ্রিন সমান ৩টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন। ব্যাটারদের বধ্যভূমিতে সেঞ্চুরি হাঁকানো ট্রাভিস হেড হন ম্যাচসেরা। তার ১০১ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৩০৩ রানের পুঁজি পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। সিরিজ সেরার খেতাবও হেডের হাতে। ৬ ইনিংসে প্রায় ৬০ গড়ে দুই সেঞ্চুরিতে এই বাঁহাতির সংগ্রহ ৩৫৭ রান। মারনাস লাবুশেন ৯ ইনিংসে ৪১.৮৭ গড়ে করেছেন ৩৩৫ রান। ৩২.২০ গড়ে ৩২২ রান সংগ্রহ তিন নম্বরে থাকা জো রুটের। রুট ছাড়া এবারের অ্যাশেজে আর কোনো ইংলিশ ব্যাটার রান পাননি। তবে রুটের ব্যাট থেকে কোনো শতক আসেনি। সফরকারীদের পক্ষে একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেন জনি বেয়ারস্টো। ১০ ইনিংসে ৬ বারই ২০০-এর নিচে অল আউট হয়েছে ইংল্যান্ড। ৩০০ ছুঁতে পারেনি একবারও। নিকট অতীতে কোনো অস্ট্রেলিয়া সফর এতটা বাজে কাটেনি তাদের। অস্ট্রেলিয়ায় শেষবার যখন ৪-০তে হারে ইংল্যান্ড, সেবারও ভালো কিছু ইনিংস উপহার দেন অ্যালিস্টার কুকরা।
পুরো সিরিজে বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন অজি পেসাররা। সেরা তিনজনই স্বাগতিক বোলার। ২১ উইকেট নিয়ে শীর্ষে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। করোনা সতর্কতার অংশ হিসেবে কামিন্স এক ম্যাচ খেলেননি। মিচেল স্টার্ক ১০ ইনিংসে ১৯ এবং স্কট বোল্যান্ড ৬ ইনিংসেই নিয়েছেন ১৮ উইকেট। অ্যাশেজের আগমুহূর্তে টিম পেইনকে সরিয়ে অধিনায়ক করা হয় প্যাট কামিন্সকে। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই কী দারুণ সাফল্য! কামিন্স বলেন, ‘এমন সিরিজই তো ডায়েরির পাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখতে চায় সবাই। ৪-০তে জয় অনেক বড় অর্জন। আমরা আনন্দে উদ্বেলিত।’ শিষ্যদের নিয়ে গর্বিত অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল। ছেলেরা ঠান্ডা মাথায় সব সামলে তাদের কাজ করেছে এবং দারণ ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। যার পুরোটাই এসেছে অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টায়।’ অ্যাশেজের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে ফলে ল্যাঙ্গারের জন্য গত কয়েকটা মাস ছিল স্বপ্নের মতো। তবে কোচের ভূমিকায় থাকবেন কিনা বলা যাচ্ছে না তা। সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং চান ল্যাঙ্গারের অধীনে আরো কিছুদিন খেলুক অস্ট্রেলিয়া। পন্টিং বলেছেন, ‘সাদা ও লাল বলের পারফরম্যান্স বিবেচনায় ল্যাঙ্গারের না থাকার কোনো কারণ দেখছি না।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: ইংল্যান্ড, ফিল্ডিং
অস্ট্রেলিয়া: ৩০৩ ও ১৫৫
ইংল্যান্ড: ১৮৮ ও ১২৪
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১৪৬ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া)
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ৪-০তে জয়ী অস্ট্রেলিয়া
সিরিজসেরা: ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর