সময়টা যুতসই কাটছিল না লিভারপুলের। প্রিমিয়ার লীগে টানা ৩ ম্যাচ জয়হীন ছিল অল রেডরা। লীগ কাপেও নেই ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের দাপট। কোয়ার্টার-ফাইনালে লেস্টার সিটিকে হারাতে ঘাম ছুটেছে তাদের। এফএ কাপের ম্যাচে শ্রুসবুরিকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে কক্ষপথে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও পরের ম্যাচে ঘরের মাঠে আর্সেনালের কাছে পয়েন্ট হারায় লিভারপুল। ব্যর্থতার বৃত্তভেদ করে এবার জয়ে ফিরলো অল রেডরা। প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো তারা।
রোববার অ্যানফিল্ডে ফ্যাবিনহোর গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বালেইন ও তাকুমি মিনামিনোর গোলে বড় জয় নিশ্চিত করে লিভারপুল।
ঘরের মাঠে স্পষ্ট দাপট ছিল লিভারপুরে।
দুই তৃতীয়াংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ২৭টি শট নেয় লিভারপুল। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১৩টি। অপরদিকে ৩১ শতাংশ বল দখলে রাখা ব্রেন্টফোর্ড মাত্র ৬টি শটের একটি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ্য হয়।
লিভারপুলের হয়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের ৩৫০তম ম্যাচ ছিল এটি। আর জার্মান ফুটবল কোচের অধীনে অলরেডদের এটি ২১২তম জয়। অনন্য মাইলফলকে পৌঁছে ক্লপ বলেন, ‘এটা (লিভারপুল) একটা পরিবারের মতো। আর আমরা এভাবেই থাকতে চাই। এখনও অনেক কিছু অর্জনের বাকি রয়েছে আমাদের। আমি আনন্দিত, ২০১৫ সালে যখন ক্লাবে এসেছিলাম তখনের দৃশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। সেই থেকে অনেকদূর এগিয়েছি আমরা।’
ত্রয়োদশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় লিভারপুল। ফ্যাবিনহোর ক্রসে ডি-বক্সে চেম্বারলেইনের হেড দারুণ দক্ষতায় ফেরান গোলরক্ষক আলভারো ফের্নান্দেজ। ২২তম মিনিটে ভার্জিল ফন ডাইকের নিচু শট ঝাঁপিয়ে ফেরান তিনি।
বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। চেম্বারলেইনের কর্নারে জোরাল হেডে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্যাবিনহো।
৬৭তম মিনিটে বাড়তে পারত ব্যবধান। রবার্তো ফিরমিনোর থ্রু বল ধরে দিয়োগো জোতার শট ফেরান গোলরক্ষক। পরক্ষণেই অ্যান্ড্রু রবার্টসনের ক্রসে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চেম্বারলেইন।
আর ৭৭তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন খানিক আগেই চেম্বারলেইনের বদলি নামা মিনামিনো। ফিরমিনোর পাসে জাল খুঁজে নেন জাপানের এই ফরোয়ার্ড।
২১ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৬ ড্রয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট ৪৫। ২২ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি তিনে নেমে গেল।
চেলসির সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে শিরোপাধারী ম্যানচেস্টার সিটি।