× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশে ফিরলেন রোডস

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার

স্টিভ রোডস, বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার অধ্যায়টা সামান্য। এলেন, দেখলেন, জয় করলেনÑ বৃটিশ কোচকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার অনন্য উপায়। রোডসের অধীনে বাংলাদেশের রয়েছে সাফল্যগাঁথা। তবে দুবছরের চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই বিদায় নিতে হয় তাকে। নেপথ্যে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ। টাইগার বাহিনীকে সেমিফাইনালে পৌঁছাতে না পারায় তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফের বাংলাদেশে ফিরেছেন ইংলিশ এই কোচ। তবে টাইগারদের কোচ নয়, রোডস দায়িত্ব পালন করবেন বিপিএলে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পরামর্শক হিসেবে দেখা যাবে তাকে।

কুমিল্লা ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে রোডসের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়, ‘আমাদের পরামর্শক হিসেবে যোগ দিয়েছেন রোডস। আমরা তার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।’ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলে কোচ হিসেবে থাকছেন দেশের স্বনামধন্য কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
২০১৮ সালে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব পান রোডস। তার অধীনে বাংলাদেশ প্রথম কোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল। আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেবার তিন জাতির টুর্নামেন্টের শিরোপাটা এসেছিল বাংলাদেশের ঘরে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ও রোডসের বড় অর্জন। কিন্তু সাকিব-তামিমদের ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুলতে না পারার কারণে চাকরি যায় রোডসের। দক্ষিণ আফ্রিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই জয়ে সেমিফাইনালের আশা জেগে উঠলেও পরে একের পর এক পরাজয় সে স্বপ্নভঙ্গ হয় টাইগারদের। শুধু আফগানিস্তানকেই হারাতে পারে বাংলাদেশ। অষ্টম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেন সাকিব-তামিমরা।

১৯৮১ সালে তিনি যখন ইয়র্কশায়ারে খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন রোডস। তখন তিনি কাউন্টি ক্রিকেটে ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী উইকেটরক্ষক ছিলেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে ১১ টেস্ট, নয়টি ওয়ানডে খেলেছেন রোডস। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ছিলেন। কিন্তু ব্যাটার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি জাতীয় দলে। যে কারণে ইংল্যান্ড দলে তার ক্যারিয়ারটা লম্বা হয়নি।

জাতীয় দলে নিয়মিত না থাকলেও প্রায় ২০ বছর ইংলিশ কাউন্টিতে খেলেছেন রোডস। ১৯৯৪ সালে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হয়েছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উস্টারশায়ারের কোচ ও ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশকে কোচিং করানোর মধ্য দিয়েই জাতীয় দলের কোচ হিসেবে অভিষেক হয় রোডসের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর