× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আমি বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা বলবো না

শেষের পাতা

সংসদ রিপোর্টার
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার

একাদশ জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে উত্তাপ ছড়িয়েছেন বিএনপিদলীয় এমপি মো. হারুনুর রশীদ। তিনি নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে ১৬ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন হারুনুর রশীদ। নিজের নির্বাচনী এলাকার পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে নির্বাচনী ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে কথা বলেন। তার বক্তব্য চলাকালে হৈ চৈ শুরু করেন সরকারি দলের এমপিরা। এ নিয়ে সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারদলীয় এমপিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এত অধৈর্য হইয়েন না প্লিজ।
এত অধৈর্য হচ্ছেন কেন? যা সত্য, তা বলার অন্তত সুযোগ স্পিকার আমাকে দিয়েছেন। এর আগে বিএনপি সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদ বলেন, গত সংসদ অধিবেশনের পর আমার নির্বাচনী এলাকায় গত ৩০শে নভেম্বর চাঁপাই নবাবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। তার আগে ৫ই নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমি গত সংসদে আবেদন রেখেছিলাম, আমরা এই সংসদে আছি, অন্ততপক্ষে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেন জনগণ ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমার এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সেই দিন ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম কেন্দ্রগুলোতে অনেকে ব্যাচ লাগিয়ে ঘুরেছে, কেউ বলছে আমি ইভিএমের মনিটর করছি, কেউ বলছে ইভিএমের টেকনিশিয়ান। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি। হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে। আসলে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ, উৎসাহ একেবারেই নাই। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। আমি বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা বলবো না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করবো। আমার এলাকায় পৌরসভা নির্বাচনে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে কেন সংসদে থাকবো? বিএনপিদলীয় এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তিন বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন দুর্নীতিবাজ যেই হোক, ছাড় দেয়া হবে না। অসৎ উপায় অবলম্বন করাও দুর্নীতি। আপনি অসৎ উপায়ে নির্বাচন করেন ও নির্বাচিত হন। অসৎ উপায় অবলম্বন করে ভর্তি হন-নিয়োগ পান। অসৎ উপায়ে যেকোনো কর্ম বাস্তবায়ন ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Khan
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৫:০৯

আমি যতদূর জানি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ,বিএনপি এই সরকার এর আমলে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাই জনাব হারুন অর রশিদ সাহেব এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়া কি দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা নয় ? উনি শুধু শুধু গলাবাজি করে নিজেকে খ্যাতিমান ভাবতে চান তানাহলে কেন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এমন বক্তব্য দেন ? এটা কি দলীয় চেয়ারপারসন ভবিষ্যতে দেশের কান্ডারী সকলের প্রিয় তারেক রহমান এর বিরোধিতা নয় ?

Nurun Nabi
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৪:১৪

0+0 = 0

অন্যান্য খবর