এখন থেকে ৫০ বছর বয়সীদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান। আমরা টিকার বুস্টার ডোজ দিয়ে যাচ্ছি। বুস্টার ডোজে খুব বেশি অগ্রগতি লাভ করেনি। কারণ ছয় মাস সবার পূরণ হয়নি। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখের মতো বুস্টার ডোজ দিতে পেরেছি। আমি প্রথমেই জানাচ্ছি যে, বুস্টার ডোজের বয়স ছিল ৬০ বছর।
এখন থেকে ৫০ বছর বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন রয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ইতিমধ্যে ১ হাজার ২০০ হয়েছে। প্রতিদিন ৫ হাজার করে বাড়লে, একসময় তো ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার, ১০ হাজারে যেতে সময় লাগবে না। ১০ শতাংশ হলেও তো প্রতিদিন এক হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হবেন। আমাদের বেড আছে সবমিলিয়ে ২০ হাজার। তাহলে এটা ফিলাপ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
দেশে গেল কয়েকদিনে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ১৮ শতাংশ বেড়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এভাবে সংক্রমণ বাড়লে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে হাসপাতালে জায়গা হবে না। এ নিয়ে সরকারও চিন্তিত ও আতঙ্কিত বলে জানান তিনি। মন্ত্রী সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পুরো সময়েও সংক্রমণ এত দ্রুতগতিতে বাড়েনি। মানুষ বেপরোয়াভাবে চললে এটা বাড়তে থাকবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ আবার বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে হাসপাতালে কোনো জায়গা থাকবে না। তখন চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এ কারণে জনগণকে আহ্বান করছি, অনুরোধ করছি- তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন।
এখন দেশে বেশির ভাগই ওমিক্রনে সংক্রমিত বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় যে নমুনা পরীক্ষা করেছি, জিনোম সিকোয়েন্স করেছি, তাতে দেখা গেছে ওমিক্রন এখন ৬৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যেটা আগে ১৩ শতাংশ ছিল। আমরা গত ১০ দিনের মধ্যেই এই তথ্য পেয়েছি। আমরা মনে করি ঢাকার বাইরেও একই হার হবে। এসময় সরকারের দেয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ মানার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিধিনিষেধ না মানলে ওমিক্রনের সংক্রমণ আরও বাড়বে।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ হা
২০ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৭অবিলম্বে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দিয়ে সারা দেশে ফ্রী মাস্ক বিতরণে ঝাপিয়ে পড়ুন। না হলে পরে বিপর্যয় হতে পারে।