চীন ও পাকিস্তানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে জেএফ-১৭ যুদ্ধ বিমান। তবে এই বিমানটি পাকিস্তান যেমন চেয়েছিল, বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি।
পাকিস্তান চেয়েছিল কম দামের, হালকা ওজনের, সব আবহাওয়া উপযোগী একটি যুদ্ধ বিমান, যা রাশিয়ান সু-৩০এমকিআই বা ফ্রেঞ্চ মিরাজ ২০০০ এর মতো। তবে বাস্তবতা তাদের আশার চেয়ে অনেক কম হয়েছে।
জেএফ-১৭ যৌথভাবে তৈরির করতে ১৯৯৯ সালে বেইজিং এবং ইসলামাবাদ চুক্তি করেছিল। তখন এটিকে সু-৩০এমকিআই বা ফ্রেঞ্চ মিরাজ ২০০০ এর সঙ্গে তুলনীয় যুদ্ধ বিমান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
ডেইলি সান জানিয়েছে, বাস্তবতা হলো, পাকিস্তান বিমান বাহিনী বিমানটি নিয়ে ব্যাপক বিরক্তি প্রকাশ করেছে। কারণ চীন গর্ব করে যে দাবি করেছিল তার কাছাকাছিও নেই এটি।
পাকিস্তানের নতুন ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ (ব্লক-৩) এর প্রথম ছবি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। নতুন এই সংস্করণটিতে আগের চেয়ে আমুল পরিবর্তন হবে আশা করা হলেও, নতুন সব সংযোজন নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে।
অপারেশনের জন্য ২০০৯ সালে জেএফ-১৭ বিমানটির অভিষেক ঘটলেও, এর অবতরণ ছিল খুবই সাধারণ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো অনুযায়ী, ১৮ মাসে ১২ বার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে কিছু ছিল জেএফ-১৭ এস মডেল।
পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য ডন অনুসারে, গত বছরের আগস্টে নতুন নির্মিত ডুয়েল সিট মডেলের বিমান তৈরির এক বছর পর এবং মোট যাত্রার ৯৬ ঘণ্টা পরই বিধ্বস্ত হয়।
পাকিস্তান বিমান বাহিনী যদিও ১০০টিরও বেশি জেএফ-১৭ ব্লক১ এবং ব্লক২ বিমানকে পরিষেবার যুক্ত করেছে, তবে খুচরা যন্ত্রাংশের ঘাটতির কারণে ৪০টি বিমান উড্ডয়নের যোগ্য নয়।
জানা গেছে, জেএফ বিমানের ইঞ্জিনে ‘গাইড ভ্যান, এক্সস্ট নজল এবং ফ্লেম স্টেবিলাইজারে’ অনেক ফাটল দেখা দিয়েছে, এর ইঞ্জিন রাশিয়ার তৈরি আরডি-৯৩। ইঞ্জিনগুলো প্রতিস্থাপন করাও কঠিন। সরবরাহকারী রুশ সংস্থার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে লেনদেনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
যাই হোক, বর্তমানে জেএফ-১৭ এর ইঞ্জিনের বাহ্যিক অংশে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন নেই। এটি সম্ভবত ‘ক্লিমভ আরডি-৯৩এমএ’ বা আগের আরডি-৯৩ ইঞ্জিনই লাগানো হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত নয়, তবে দেখার বিষয় এটি কেমন চলে। যদি এটি আবার রাশিয়ান ইঞ্জিন হয়, তবে সেবা আগের মতোই হবে।
সূত্র: দ্য হংকং পোস্ট