× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সকল অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের দাবি টিআইবির

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ১৮, ২০২২, মঙ্গলবার, ৫:৩৯ অপরাহ্ন

জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে নাগরিক সমাজ তথা সকল অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে খসড়া চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ এক বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রায় একমাস রাষ্ট্রপতির সাথে নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনার শেষ দিনে মন্ত্রীসভায় নির্বাচন কমিশন আইনের খসড়া অনুমোদন আশাব্যঞ্জক। তবে সাংবিধানিক অঙ্গীকারের প্রতিফলক এ ধরণের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি আইন পাশের পূর্বে পূর্ণাঙ্গ যাচাই বাছাইসহ নাগরিক সমাজ তথা সকল অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত করা প্রয়োজন। আর সে লক্ষ্যে আইনটির খসড়া অবিলম্বে সকলের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও আপামর জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের পথে অনেকটা আকস্মিকভাবে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ইতিবাচক। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে মাহামান্য রাষ্ট্রপতির সমাপ্ত আলোচনা শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই নাগরিক সমাজ নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের তাগিদ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আলোচনায় অংশ নেয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি জানায়।
আলোচনায় অংশ নেয়ার আগ মূহুর্তে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বাচন কমিশন আইনের খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করে। গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, বরাবরের মত সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে আইনটিতে; যা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু সার্চ কমিটির জন্য কিছু সাধারণ  মানদন্ড নির্ধারণ করার  বাইরে খসড়া আইনে কি আছে তার বিস্তারিত এখনো সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও নাগরিক সমাজের অজানা।” তিনি বলেন,বিশেষ করে সার্চ কমিটিতে নারী প্রতিনিধি থাকবে কি না, কমিটিতে যে দু’জন নাগরিক প্রতিনিধির কথা বলা হচ্ছে তাদের যোগ্যতার মাপকাঠি কি হবে, কমিটির কর্মপদ্ধতি কিরূপ হবে, কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত নামসমূহ প্রকাশ করা হবে কিনা, সর্বোপরি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ও অন্যান্য কমিশনারদের যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে তারা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অবস্থান সমুন্নত রাখার মত সৎসাহস ও দৃঢ়তাসম্পন্ন হবেনÑএই নিশ্চয়তা বিধানের পদ্ধতি আইনে অন্তর্ভূক্ত করা অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে  অবিলম্বে আইনটির খসড়া উন্মুক্ত করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ নাগরিক সমাজের মতামতের ভিত্তিতে আইনটি চূড়ান্ত করতে  হবে। অন্যথায় দেশের আপামর জনগণের বহুল প্রত্যাশিত স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের সম্ভাবনা আবারও নস্যাৎ হবে। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও নাগরিক সমাজের মতামত ও যাচাইবাছাই ছাড়া আইনটি পাশ করা হলে এর গ্রহণযোগ্যতা যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, তেমনি কার্যকরিতা নিয়েও নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে না। তাই জনপ্রত্যাশাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সর্বজনের মতামতের ভিত্তিতে আইনটি পাশের বিকল্প নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Mohammed Musa
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১২:১৩

টি আই বি রাজনৈতিক দলগঠন করে তারপর মাঠে ময়দানে মিছিল মিটিং করে এসব মতামত না দিয়ে সরকারে বসে নিজেদের মত করে আইন করতে পারে। বিদেশী এনজিওর পয়সায় টিআইবি আর সুজনের গায়ে অনেক চর্বি জমা হয়ে গরম সহ্য করতে কষ্ট হচ্ছে বলে মনে হয়॥ খায়েশ থাকলে জনপ্রতিনিধি হতে দোষের কি! এরা এত বিজ্ঞ যে সরকারের দোষ খুজতে খুজতে সত্য মিখ্যা সব গুলিয়ে ফেলেছিল পদ্মাসেতূর বেলায়। বিদেশী মনিবদের খুশী করতে এরা দেশপ্রেম নামের শব্দটাকে ডলার মোছার কাজে ব্যবহার করছে॥

আবুল কাসেম
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৭:২৪

প্রথম আলোর অনলাইনে মতামত বিভাগে বদিউল আলম মজুমদার একটি কলাম লিখেছেন ১৮ জানুয়ারি। ২০১২ ও ২০১৭ সালে রকিবউদ্দীন কমিশন ও নূরুল হুদা কমিশন সরকারের ইচ্ছানুযায়ী গঠন করা হয়েছিলো। ফলে এই দুই কমিশন সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে প্রত্যেকটি নির্বাচনে। ফলতঃ কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, 'নির্বাচন আইসিইউতে, গনতন্ত্র লাইফ সাপোর্টে।' এসব কথায় দেশ বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই বদিউল আলম মজুমদারের মতামতের কিছু অংশ নিম্নে তুলে ধরা হয়েছে। 'আমাদের সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাঁহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন।’ তাই নির্বাচন কমিশনে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যে পরামর্শ দেবেন, তার বাইরে একচুল পরিমাণ ব্যত্যয় ঘটানোর ক্ষমতাও রাষ্ট্রপতির নেই।'... 'তাই আমাদের আশঙ্কা, সেই পুরোনো প্রক্রিয়া (রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার নিষ্ফল প্রক্রিয়া) নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ–সম্পর্কিত বিরোধের সমাধানের পরিবর্তে আবারও আমাদের বিষফলই উপহার দিতে পারে। আমরা আবারও একটি পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন পেতে পারি, যা পূর্বসূরিদেরই অনুসরণ করবে। আর এ কাজে তারা ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইলবিহীন (ভিভিপিএটি) একটি নিকৃষ্ট মানের ইভিএম ব্যবহার করতে পারে, যে ইভিএমে কারসাজির মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে দেওয়া যায়। আর নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলে সংকটে নিপতিত হতে পারি।...'আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি আমরা অনেক আগে থেকে জানিয়ে এসেছি। শেষ পর্যন্ত সরকার যে আইনের খসড়া অনুমোদন করল, তা পুরোনো রীতিকেই বহাল রেখেছে। অর্থাৎ সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সে ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, তার প্রতিফলন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।' 'ড. বদিউল আলম মজুমদার সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)'

Md. Akash Roy Chowhu
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৬:৫৮

TIB' kotha 100% right.

অন্যান্য খবর