প্রথম আলোর অনলাইনে মতামত বিভাগে বদিউল আলম মজুমদার একটি কলাম লিখেছেন ১৮ জানুয়ারি। ২০১২ ও ২০১৭ সালে রকিবউদ্দীন কমিশন ও নূরুল হুদা কমিশন সরকারের ইচ্ছানুযায়ী গঠন করা হয়েছিলো। ফলে এই দুই কমিশন সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে প্রত্যেকটি নির্বাচনে। ফলতঃ কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, 'নির্বাচন আইসিইউতে, গনতন্ত্র লাইফ সাপোর্টে।' এসব কথায় দেশ বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই বদিউল আলম মজুমদারের মতামতের কিছু অংশ নিম্নে তুলে ধরা হয়েছে। 'আমাদের সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাঁহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন।’ তাই নির্বাচন কমিশনে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যে পরামর্শ দেবেন, তার বাইরে একচুল পরিমাণ ব্যত্যয় ঘটানোর ক্ষমতাও রাষ্ট্রপতির নেই।'... 'তাই আমাদের আশঙ্কা, সেই পুরোনো প্রক্রিয়া (রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার নিষ্ফল প্রক্রিয়া) নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ–সম্পর্কিত বিরোধের সমাধানের পরিবর্তে আবারও আমাদের বিষফলই উপহার দিতে পারে। আমরা আবারও একটি পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন পেতে পারি, যা পূর্বসূরিদেরই অনুসরণ করবে। আর এ কাজে তারা ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইলবিহীন (ভিভিপিএটি) একটি নিকৃষ্ট মানের ইভিএম ব্যবহার করতে পারে, যে ইভিএমে কারসাজির মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে দেওয়া যায়। আর নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলে সংকটে নিপতিত হতে পারি।...'আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি আমরা অনেক আগে থেকে জানিয়ে এসেছি। শেষ পর্যন্ত সরকার যে আইনের খসড়া অনুমোদন করল, তা পুরোনো রীতিকেই বহাল রেখেছে। অর্থাৎ সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সে ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, তার প্রতিফলন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।' 'ড. বদিউল আলম মজুমদার সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)'
TIB' kotha 100% right.
Mohammed Musa
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১২:১৩টি আই বি রাজনৈতিক দলগঠন করে তারপর মাঠে ময়দানে মিছিল মিটিং করে এসব মতামত না দিয়ে সরকারে বসে নিজেদের মত করে আইন করতে পারে। বিদেশী এনজিওর পয়সায় টিআইবি আর সুজনের গায়ে অনেক চর্বি জমা হয়ে গরম সহ্য করতে কষ্ট হচ্ছে বলে মনে হয়॥ খায়েশ থাকলে জনপ্রতিনিধি হতে দোষের কি! এরা এত বিজ্ঞ যে সরকারের দোষ খুজতে খুজতে সত্য মিখ্যা সব গুলিয়ে ফেলেছিল পদ্মাসেতূর বেলায়। বিদেশী মনিবদের খুশী করতে এরা দেশপ্রেম নামের শব্দটাকে ডলার মোছার কাজে ব্যবহার করছে॥