লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো- গত এক যুগ ধরে ফুটবল বিশ্বে চলছে এই দুই মহারাজার দাপট। দুজন মিলে ভাগ করে নেন ১১টি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। তবে গত মৌসুমের দৃশ্য ছিল ভিন্ন। দুই সুপারস্টারের যুগপৎ পারফরম্যান্স দেখা যায়নি মাঠে। মেসি আপন আলোয় উজ্জ্বল থাকলেও চেনাছন্দে ছিলেন না রোনালদো। আর রঙহীন পারফরম্যান্সে প্রায় এক যুগ পর ব্যালন ডি অ’রের সেরা পাঁচের বাইরে থাকেন তিনি । ফিফা দ্য বেস্টেরও সেরা তিনে ছিলেন না পর্তুগিজ অধিনায়ক। তবে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে ঠিকই আলো ছড়ান রোনালদো।
ফিফা কর্তৃক বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়েছে রোনালদোকে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের সুবাদে তাকে বিশেষ পুরস্কার দেয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গত বছর ইরানের আলী দাইয়ির করা ১০৯ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন রোনালগেদা। এখন আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল সংখ্যা ১১৫।
আগামী মাসে ৩৭ বছর বয়সে পা রাখবেন রোনালদো। দুর্দান্ত ফিটনেসের অধিকারী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা এখনই থামছেন না। খেলা চালিয়ে যাবেন। জুরিখের অনুষ্ঠানে রোনালদো বলেন, ‘এখনও খেলাটির প্রতি, গোল করার প্রতি আমার প্যাশন কাজ করে। পাঁচ বছর বয়স থেকে ফুটবল খেলছি। যখন আমি মাঠে যাই, এমনকি অনুশীলন করি, আগের মতোই অনুপ্রেরণা অনুভব করি।’
রোনালদো বলেন, ‘কদিনের মধ্যে ৩৭ বছর হবে আমার, কিন্তু আমি ভালো বোধ করছি। কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি। খেলাটিকে ভালোবাসি এবং খেলাটির প্রতি আমার আবেগ আছে। আমি চালিয়ে যেতে চাই। আশা করি, হয়তো আরও চার বা পাঁচ বছর ফুটবল খেলে যেতে পারবো।’
‘প্রথমত গত ২০ বছর ধরে পাওয়া জাতীয় দলের সব সতীর্থ, যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি, তাদেরকে ধন্যবাদ দিতে চাই। রেকর্ডটা ছিল ১০৯ গোলের, তাই তো? তাহলে এখন ছয়টা বেশি গোল আমার। আমি ভীষণ গর্বিত। ফিফার কাছ থেকে এটা আমার জন্য বিশেষ পুরস্কার। সংস্থাটিকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি।’