× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রেকর্ড ৬ বারের চ্যাম্পিয়নস লীগজয়ী রিয়াল কিংবদন্তির চিরবিদায়

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার

দুদিন আগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্সেলো স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের পর উঠে এসেছিল তার প্রসঙ্গ। রিয়ালের হয়ে সর্বোচ্চসংখক শিরোপা জয়ের রেকর্ডে পাকো গেন্তোকে ছুঁয়ে ফেলেন মার্সেলো। রিয়াল কিংবদন্তি পাকো হেন্তো আর নেই। অন্যলোকে পাড়ি দিয়েছেন এ স্প্যানিয়ার্ড ফুটবল লিজেন্ড। ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ছয়বার ইউরোপিয়ান কাপজয়ী (বর্তমানে চ্যাম্পিয়নস লিগ) গেন্তোর ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ও বোর্ড পরিচালকেরা ফ্রান্সেসকো হেন্তোর মৃত্যুতে শোকাহত। তিনি ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সম্মানসূচক সভাপতি এবং বিশ্ব ফুটবল ও আমাদের ক্লাবের অন্যতম কিংবদন্তি।’ ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (আইএফএফএইচএস) ভোটে স্পেনের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলারের মর্যাদা পাওয়া গেন্তো ১৯৫৩ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেন। এই ১৮ মৌসুমে রিয়ালের হয়ে সর্বোচ্চ লীগ শিরোপা (১২), সর্বোচ্চ ইউরোপিয়ান কাপ (৬), ইউরোপিয়ান কাপে সর্বাধিক ফাইনালে উপস্থিতি (৮) এবং সব মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ শিরোপা (২৩) জয়ের রেকর্ড গড়েন।
প্রায় ৫০ বছর পর রিয়ালের হয়ে তার সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডে সদ্য ভাগ বসান ব্রাজিলিয়ান লেফটব্যাক মার্সেলো। গেন্তো নিজেও খেলেছেন মাঠের বাঁ দিকে। ফেরেঙ্ক পুসকাস, আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর পাশে বাঁ প্রান্তে উইংয়ে খেলতেন। এ পজিশনে তাকে সর্বকালের অন্যতম সেরাদের কাতারেও রাখেন অনেকে। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত স্পেন দলে ৪৩ ম্যাচ খেলে ৫ গোল করেন গেন্তো।
জাতীয় দলের হয়ে কিছু জিততে না পারলেও গেন্তোকে সবাই মনে রেখেছেন রিয়ালে সোনালি ক্যারিয়ারের জন্য। রিয়ালের হয়ে ৬০০ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ১৮২। ফার্নান্দো হিয়েরোর সঙ্গে ক্লাবটির ইতিহাসে তিনি সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে যুগ্মভাগে ষষ্ঠ। রেসিং সান্তেন্দরের হয়ে ১৯৫২-৫২ মৌসুমে স্পেনের শীর্ষ লীগে অভিষেক গেন্তোর। এক মৌসুমে সেখানে ১৪ ম্যাচে ২ গোল করে যোগ দেন রিয়ালে। তার মৃত্যুতে রেসিংয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফুটবল আজ বিদায় বলে দিলো পাকো গেন্তোকে “লা গালের্না দেল কান্তাব্রিকো।” কিংবদন্তি হয়ে এবং আমাদের ইতিহাসের অংশ হয়ে কান্তাব্রিয়ান (স্পেনের অঞ্চল) ফুটবলকে সমৃদ্ধ করার জন্য ধন্যবাদ।’

স্পেনের কান্তাব্রিয়ান অঞ্চলে গুয়ারানিজোতে জন্ম গেন্তোর। শৈশবে রেসিংয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতেন। চার বছর ফুটবল ও অ্যাথলেটিকসে অনুশীলন করার পর রেসিংয়ের দরজা খুলে যায়। তত দিনে তার ওপর চোখ পড়ে রিয়াল মাদ্রিদেরও। বাকিটা ইতিহাস।

বল পায়ে গেন্তো ১১ সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করতে পারতেন। তখন ট্র্যাকের এ ইভেন্টের বিশ্ব রেকর্ড ছিল ৯.৯ সেকেন্ড। আলফ্রেডো ডি স্টেফানো ও হেক্টর রিয়ালের সঙ্গে পরে রিয়ালকে নিয়ে গেছেন ইউরোপিয়ান ফুটবলের চূড়ায়। জিতিয়েছেন টানা পাঁচ ইউরোপিয়ান কাপ (১৯৫৬-১৯৬০)। এ পথে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন ফেরেঙ্ক পুসকাস, রেমন্ড কোপা ও হোসে সান্তামারিয়ার মতো কিংবদন্তি।

২০১৬ সালে ডি স্টেফানোর জায়গায় রিয়ালের সম্মানসূচক সভাপতি হন গেন্তো। মৃত্যুর পর রিয়ালের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাকো গেন্তো সত্যিকার অর্থেই রিয়াল মাদ্রিদের মূল্যবোধ ধারণ করতেন। মাদ্রিদের সমর্থকেরা তাকে আজীবন স্মরণে রাখবেন।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর