× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে সুপার ফুড কিনোয়া

বাংলারজমিন

রিয়াছাদ আলী, কয়রা (খুলনা) থেকে
১৯ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার

উত্তর আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কিনোয়ার চাষাবাদ। সেই কিনোয়ার ফসল নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সার্বিক সহযোগিতায় কয়রায় প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে সুপার ফুড উত্তর আমেরিকার কিনোয়া। জানা গেছে, কিনোয়া একটি জনপ্রিয় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধি ফসল শস্যদানা। এই ফসল ধান জাতের শস্য ফসলের চেয়েও লাভজনক। বাংলদেশে কৃষিতে এসেছে বৈচিত্র্যতা। আগামীতে বিশ্ব কৃষি অর্থনীতিতে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। আর এই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে দেখাচ্ছে কিনোয়া ফসলের উৎপাদন। শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘ ৫টি বছর ধরে কিনোয়া জাতের ফসল নিয়ে গবেষণা করছে।
সেই গবেষণার পর মাঠ পর্যায়ে গত বছর কিছু চাষ করা হয়। কিন্তু এ বছর ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় চাষ শুরু করছে কয়রায়। সরজমিন গবেষণা বিভাগের বৈজ্ঞানিক সহকারী জাহিদ হাসান বলেন, এটি উচ্চমান সম্পূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্য ও ক্যালরি যুক্ত দানাদার খাবার। ভাত, রুটির বিকল্প হিসেবে ইউরোপ, আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, চীন ও ভারতের মানুষ খায়। কিনোয়া ফসলের শস্য দানার রং তিন ধরনের হয়ে থাকে, সাদা, লাল ও কালো। কয়রা উপজেলার ৪নং কয়রা গ্রামের কৃষাণী টুম্পা রাণী সরদার  জানান, কিনোয়া সম্পর্কে তার আগে কোনো ধারণা ছিল না। আমার বাড়ির মাঠে চাষ করছিলাম এমন সময় সরজমিন গবেষণা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কিনোয়া লাভজনক ফসল। তাদের পরামর্শে নিজ বাড়ির জমিতে কিনোয়া চাষ করেছি। সরজমিন গবেষণা বিভাগ ইতিমধ্যে বীজ ও সার সহায়তা দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ফসলের চাষ পদ্ধতি শিখিয়েছে। তবে এই কিনোয়া চাষে কোনো রাসায়নিক সারের ব্যবহার করা হয়নি। শুধু জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে। সরজমিন গবেষণার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুস্তফা কামাল শাহাদাৎ বলেন, কিনোয়া এটি লবণ ও খরা সহনশীল। এজন্য এ ফসল চাষ করলে কৃষকরা লাভবান হবেন। কিনোয়ার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুনুর রশিদ জানান, কিনোয়া হলো হাই প্রোটিনসম্পন্ন খাবার। এটিকে সুপার ফুডও বলা হয়। কিনোয়াতে অ্যামিনো এসিড থাকে এবং লাইসিন সমৃদ্ধ, যা সারা শরীরজুড়ে স্বাস্থ্যকর টিস্যু বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারি। কিনোয়া আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-ই, পটাশিয়াম এবং ফাইবারের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। রান্না করা হলে এর দানাগুলো আকারে চারগুণ হয়ে যায়। খরা ও লবণাক্ত অঞ্চলসহ সারা দেশে রবি মৌসুমে এ ফসলটি চাষ করা সম্ভব হবে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সেক্ষেত্রে খরা ও লবণাক্ততা সহনশীল ফসল হিসেবে সম্ভাবনায় হয়ে উঠতে পারে নতুন ফসল কিনোয়া। তাই কয়রায় প্রথমবারের মতো শুরু করা হয়েছে এই দানাদার ফসল। আগামীতে আরও অনেক জায়গায় কিনোয়া চাষাবাদ শুরু করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর