× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আজ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম চলবে ভার্চ্যুয়ালি

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার

আজ বুধবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের কার্যক্রম ভার্চ্যুয়ালি চলবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। মঙ্গলবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। নতুন করে করোনাভাইরাস বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে সকালেই প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল  বোর্ড বেঞ্চে বসার পর বলেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের ভার্চ্যুয়ালি হবে সব বিচারকাজ। প্রধান বিচারপতি বলেন, চারদিকে যেভাবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ভার্চ্যুয়ালি যেতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের ১৩ বিচারপতি করোনা আক্রান্ত। আক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের অনেক স্টাফ। এমন পরিস্থিতিতে কোর্টের কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতের অনেক বিচারকও করোনায় আক্রান্ত।
এমন অবস্থায় কোর্ট চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। এসময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইন কর্মকর্তাদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত।
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওই সময় দেশের বিচারব্যবস্থা কার্যত বন্ধ ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্য বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দিতে পক্ষদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়ে আইন হয়। ১১ই মে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম ভার্চ্যুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকলে প্রথমে কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে নিম্ন আদালতের কার্যক্রম চালু করা হয়। পরে হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চেও শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চালু করা হয়। পাশাপাশি ভার্চ্যুয়াল আদালতও চালু থাকে।  তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, অর্থাৎ আপিল বিভাগ এবং চেম্বার আদালত ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফরমেই চলে আসছিল। দেড় বছরের বেশি সময় এ প্রক্রিয়ায় বিচারকাজ চলার পর গত ১লা ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়। তবে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ভার্চ্যুয়ালি চালানোর সিদ্ধান্ত আসে। সপ্তাহে চার দিন (রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার) ভার্চ্যুয়ালি বিচারকাজ পরিচালনা করবেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার ভার্চ্যুয়াল আদালতে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন প্রধান বিচারপতি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর