সূর্যের আলো পুরোপুরি ওঠার আগেই ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী সোহেল, ওহিদুল, মিরাজ, শরিফুল, সেলিম, শামীমসহ আরও অনেক শিশু শ্রমিক ইটভাটায় কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। পারিবারিক অভাব-অনটনের শিকার হয়ে পড়ালেখা বাদ দিয়ে শিশুরা ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করছে। সেলিম হোসেন (১৪) শরিফুল (১৩) শামীম (১৩) শুরু করেছিল স্কুলে যাওয়া কিন্তু বেশিদিন নয়। পারিবারিক অভাবের কারণে ইটভাটার শ্রমিকের কাজ করছে তারা। উপজেলার আশরাফ ব্রিকফিল্ড এবং ইউনাইটেড ব্রিকফিল্ডে সোহেল হাওলাদার (১১) ওহিদুল (১৩) মিরাজ (১৪) এমন আরও অনেক শিশু কাজ করছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইটভাটায় ভারী কাজ করে যাচ্ছে তারা। এ ছাড়াও ইটভাটার মালিকপক্ষ ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন’কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিশুশ্রম করিয়ে যাচ্ছে। কতোটা পালন করেছে তা জানতে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১৫ বছরের কম বয়সী এমন অনেক শিশু দিব্বি কাজ করছে। যে হাতে থাকার কথা ছিল বই-খাতা তার পরিবর্তে অল্প বয়সী সোহেল, ওহিদুল, মিরাজ, শরিফুল, সেলিম, শামীমদের মতো শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছে ইট তৈরির মতো কঠিন কাজ।
কেউ ইট উল্টাচ্ছে আবার কেউ ট্রলিতে করে ইট টানছে। শুধু ছেলে শ্রমিক ৬ জন রয়েছে যাদের বয়স ১৫ এর নিচে। ওইসব শিশু বলে, ৬ মাসে ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, যদি কোনো ইটভাটায় এমন শিশুশ্রম দেখা যায় তবে সেই ভাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শহীদ
১৯ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার, ৯:৩৭শিশুদের কাজ দিয়ে ইটভাটা ভুল করেছে। কিন্তু সে শিশুদের খাওয়া না দিয়ে কারা ভুল করছে?