× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জ্বালানি কাঠ দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট হুমকির মুখে ঘাটাইলের বনাঞ্চল

শেষের পাতা

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৯ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বিশাল এলাকাজুড়ে বনভূমি। গোটা উপজেলার তিন ভাগের দুই ভাগই শাল, গজারি ও সামাজিক বনভূমিতে বিস্তৃত। কিছু বনখেকো ও সমাজের সুবিধাভোগী লোকদের কারণে সরকারি এই সম্পদ রাতের আঁধারে বিলীন হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। তাছাড়াও বন প্রহরী, বিট অফিসার ও রেঞ্জারদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। রাত-দিন সমানতালে চলছে বন নিধনের মহা উৎসব। আইন অনুযায়ী কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো নিষিদ্ধ থাকলেও ঘাটাইলের ১২টি ইটভাটায় অবৈধভাবে জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতি লিখিতভাবে তালিকা দিয়ে এসব ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। অথচ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেই স্থানীয় প্রশাসনের।
সরজমিন ২নং ঘাটাইল সদর ইউনিয়নে অবস্থিত সচল ও কেএসবি ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, ইট পোড়ানোর জন্য জ্বালানি কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
ইট পোড়ানোর কাজে নিয়োজিত ইটভাটা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি ভাটায় ইট পোড়াতে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২শ’ মণ জ্বালানি কাঠের প্রয়োজন হয়। আর এসব কাঠ সংগ্রহ করা হচ্ছে সংরক্ষিত বন থেকে। প্রতি টন কয়লা ক্রয় করতে খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে জ্বালানি কাঠে খরচ টন প্রতি মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা। কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো সাশ্রয়ী হওয়ার কারণেই ভাটার মালিকরা কাঠ দিয়ে ইট পোড়াতে আগ্রহী বেশি। ঘাটাইলে মোট বনভূমির পরিমাণ ২৫ হাজার ৭১১ একর। বনবিভাগের ভূমিতে রয়েছে সামাজিক ও সংরক্ষিত বনের প্রচুর গাছ। ইটভাটা মৌসুমে অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীরা প্রতিরাতেই ট্রাক বোঝাই করে বনের কাঠ বিক্রি করে ইটভাটায়। বনের অধিবাসী ও পরিবেশবিদদের শঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে বনাঞ্চল।
ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, বনের কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে এমন কোনো তথ্য তার কাছে নেই। তথ্য পেলে সংশ্লিষ্ট ইটভাটার বিরুদ্ধে  আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান সরকার জানান, সব ইটভাটা মালিককে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা নিষেধ অমান্য করে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছেন, সেসব ইটভাটার তালিকা উপজেলা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, আইন অনুযায়ী জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে তালিকা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ইটভাটা মালিক সমিতি জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো ইটভাটার একটি তালিকা দিয়েছে। দ্রুতই এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর