হাস্যরসাত্মক অভিনয় দিয়ে ছোট পর্দার দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন অভিনেতা ফারুক আহমেদ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন মঞ্চে তার অভিনয়ের হাতেখড়ি। বরেণ কথা সাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয় করে সারা দেশেই তার দর্শক তৈরি হয়। ‘বারো রকম মানুষ’ নাটকে রসিক লাল চরিত্রে তার অভিনয় দর্শক লুফে নেন। হুমায়ূন আহমেদের নাটকগুলোতে তার অভিনয় নতুন মাত্রা যোগ করতো। কেমন আছেন এই অভিনেতা। ফারুক আহমেদ বলেন, বেশ ভালো আছি। সুস্থ আছি, এটাই বড় কথা।
এখন ব্যস্ত কি নিয়ে? এ অভিনেতা বলেন, বর্তমানে সিলেটে নতুন একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং করছি।
এছাড়া ‘শান্তি মলম দশ টাকা’ দীর্ঘ ধারাবাহিকে কাজ চলছে। এর বাইরে মাছরাঙায় 'বাকেরখনি' ধারাবাহিক প্রচার চলছে। এই ধারাবাহিকে মজার একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই অভিনেতা ছোট পর্দার বাইরে তার অভিনয় প্রতিভা দিয়ে রূপালী পর্দায়ও দ্যুতি ছড়িয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা র মধ্যে রয়েছে- কৃষ্ণপক্ষ, নয় নাম্বার বিপদ সংকেত, শ্যামল ছায়া, তারকাঁটা, ফাগুণ হাওয়ায় ও কানামাছি। সিনেমায় কাজ করা হচ্ছে এখন। ফারুক আহমেদ বলেন, ভালো কাজ হলেই আমি সেটা আগ্রহ নিয়ে করি। পর্দা আমার কাছে মুখ্য বিষয় নয়। কাজটাই গুরুত্বপূর্ণ। ফারুক আহমেদ মানেই সব নাটকেই গতানুগতিক চরিত্রে অভিনয়।
টাইপড হয়ে যাচ্ছেন বলে কি মনে হয়? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভার্সেটাইল অভিনেতার সংখ্যা খুবই কম অভিনয় জগতে। ঐসব অভিনেতা বিরল প্রতিভা নিয়ে জন্ম নিয়েছেন। তাদের অভিনয় প্রতিভাকে নিয়ে পরিচালকরা এক্সপেরিমেন্ট করতেন এবং তাতে ঐ গুণী শিল্পীরা উৎরে যেতেন। কিন্তু আমাদের দেশে দর্শকরা যদি কোনো অভিনেতাকে একবার পছন্দ করে বসেন রোমান্টিক, খল বা কমেডি চরিত্রে, তাহলে রক্ষা নেই।যতদিন ঐ অভিনেতা বেঁচে থাকবেন তাকে একই চরিত্রে পরিচালকরা কাস্ট করেন। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমিও একই পথের পথিক। কিন্তু শিল্পী মন প্রতিনিয়তই হাহাকার করে নতুন নতুন চরিত্রে নিজেকে আবিষ্কার করতে। অবশ্য আজকাল নাটক বা সিনেমায় তেমন চরিত্র সৃষ্টিও হচ্ছে না, যা দর্শকদের মনে দাগ কেটে যায়।
KAYES
১৯ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার, ১:৫৭একদিন মগবাজারে রাস্তায় উনার সাথে দেখা। আমাকে না চিনলেও খুবই আন্তরিক ব্যবহার করেছেন।