× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চলে গেলেন মাসুদ রানার অমর স্রষ্টা

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২০ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার

লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক এবং মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই। বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। কাজী আনোয়ার হোসেন দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন আগেই মারা যান।

আনোয়ার হোসেনের পুত্রবধূ মাসুমা মাইমুর এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, নিভে গেছে দীপ জনমের তরে, জ্বলিবে না সে তো আর। দূর আকাশের তারা হয়ে গেছে আমার ছেলেটা। আমার ছোট্ট ছেলেটা। আর কোনোদিনও আমার পিছু পিছু ঘুরে খুঁজবে না মায়ের গায়ের মিষ্টি গন্ধ।
কোনোদিনই না। কিন্তু মাকে ছেড়ে থাকবে কীভাবে ওই অন্ধকার ঘরে আমার ছেলেটা? একা, শুধু একা? কী সব বকছি জানি না। আব্বা (কাজী আনোয়ার হোসেন) আর নেই। চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে।

তিনি জানান, গত ৩১শে অক্টোবর প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে আনোয়ার হোসেনের। মাঝে পাঁচ বার হসপিটালাইজড ছিলেন। চিকিৎসার সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায়নি। একটা ব্রেন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হয়ে সব শেষ হয়ে গেল। ১০ই জানুয়ারি থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

১৯৬৬ সালে বিদ্যুৎ মিত্র ছদ্মনামে মাসুদ রানার প্রথম বই ‘ধ্বংস পাহাড়’ প্রকাশ করেন কাজী আনোয়ার হোসেন। এরপর তরুণ প্রজন্মের পাঠকদের কাছে আইকন হয়ে ওঠে মাসুদ রানা চরিত্র। তার জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯শে জুলাই, ঢাকায়। তার বাবা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন এবং মা সাজেদা খাতুন। কাজী আনোয়ার হোসেন ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পীও। যদিও পরে তিনি পেশা ছেড়ে দেন। এ ছাড়া ১৯৭৪ সালে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান তিনি। পেয়েছেন সিনেমা পত্রিকা ও জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর