টেম্বা বাভুমা-রসি ভ্যান ডার ডুসেনের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বল হাতেও ভারতীয়দের উপর আধিপত্য বিস্তার করে প্রোটিয়ারা। কেএল রাহুলের দল লক্ষ্যে পৌঁছার আগেই শেষ হয়ে যায় নির্ধারিত ওভার। আর দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৩১ রানের জয়। এই জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
বুধবার পার্ল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান জড়ো করে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ্য হয় ভারত।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হিসেবে ফেরেন জানেমান মালান। জসপ্রীত বুমরাহর বলে আউট হওয়ার আগে এই প্রোটিয়া ওপেনার ১০ বলে করেন ৬ রান।
৭০ রানের আগে আরো দুই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪১ বলে ২৭ রান করে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হন কুইন্টন ডি কক। এইডেন মার্ক্রামের সংগ্রহ ৪ রান। এরপর চতুর্থ উইকেটে অপ্রতিরোধ্য জুটি গড়েন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও রসি ভ্যান ডার ডুসেন। দুই ব্যাটার মিলে গড়েন ২০৪ রানের জুটি। বাভুমা ১৪৩ বলে ১১০ রান করে আউট হলে ভাঙে জুটিটি।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভ্যান ডার ডুসেনও। ৯৬ বলে ১২৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অনবদ্য ইনিংসটি সাজান ৯ চার ও ৪ ছক্কায়।
১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ। ১ উইকেট পান অশ্বিন।
ধীরে সুস্থে শুরু করা ইনিংসে ৪৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ব্যক্তিগত ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক কেএল রাহুল। এরপর শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি মিলে ৯২ রানের জুটি গড়েন। ধাওয়ান ৮৪ বলে ৭৯ রানে আউট হলে ভাঙে জুটিটি। ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি ৬৩ বলে ৫১ রানে তাবরাইজ শামসির উইকেটে পরিণত হন। হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান শার্দূল ঠাকুরও। এছাড়া কোনো ব্যাটারই ছুঁতে পারেননি বিশের কোঠা।
লুঙ্গি এনগিডি, তাবরাইজ শামসি ও অ্যান্ডিল ফেহলাকওয়াইও দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট শিকার করেন এইডেন মার্ক্রাম ও কেষভ মহারাজ।