× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মানবাধিকার নিয়ে কথা বললে চীনে শাস্তি পেতে হবে অ্যাথলেটদের

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২১, ২০২২, শুক্রবার, ৮:০৯ অপরাহ্ন

অ্যাথলেটদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তারা যদি ‘অলিম্পিকের চেতনা’ বা চীনা আইন লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে। অর্থাৎ, তাদেরকে মানবাধিকার নিয়ে কোনো কথা না বলতে সতর্ক করা হয়েছে। বেইজিং অলিম্পিক-২০২২ এর একজন কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন বলে খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। আগামী মাসে বেইজিংয়ে হতে যাচ্ছে শীতকালীন অলিম্পিক। এতে যেসব প্রতিযোগী অংশ নেবেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়ে এরই মধ্যে অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অলিম্পিক চার্টারের রুল-৫০ বলছে, অলিম্পিকের কোনো সাইটেই কোনো রকম প্রতিবাদ বিক্ষোভ, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অথবা বর্ণবাদী প্রচারণা অনুমোদিত নয়। অথচ যদি তারা কোনো বিঘ্ন না ঘটান এবং প্রতিযোগীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন তাহলে এমন বিষয়ে শিথিলতা ছিল আগের বছরে।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি পরিষ্কার করে বলেছে, অলিম্পিক বাবলে যেকোনো বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বা সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করতে পারেন অ্যাথলেটরা। তবে সেটা অনুষ্ঠানের সময় বা পদক দেয়ার সময় নয়। বেইজিং ২০২২-এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপ-মহাপরিচালক ইয়াং শু’কে বুধবার ভার্চ্যুয়াল এক ব্রিফিংয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল অলিম্পিকের সময় অ্যাথলেটদের কথা বলার অধিকার নিয়ে। জবাবে তিনি বলেছেন, অলিম্পিকের চেতনার সঙ্গে যায় এমন যেকোনো মত সুরক্ষিত থাকবে। তবে যা অলিম্পিকের চেতনা বিরোধী এমন কোনো কিছু, কোনো আচরণ অথবা বক্তব্য, বিশেষ করে চীনের আইন ও বিধানের বিরুদ্ধে যদি যায়, তাহলে তার জন্য শাস্তি পেতে হবে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আয়োজনে মঙ্গলবার একটি সেমিনার হয়। যেসব অ্যাথলেট বেইজিং অলিম্পিকে অংশ নিতে যাচ্ছেন, তাদেরকে ওই সেমিনার থেকে সতর্ক করার পর এমন মন্তব্য করলেন ইয়াং শু। গ্লোবাল অ্যাথলেট গ্রুপের মহাপরিচালক রব কোহলার বলেছেন, তারা বাস্তবে খুব বেশি সুরক্ষা পাবেন না। অ্যাথলেটদের কথা না বলার পরামর্শ দিচ্ছি। তারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিন এবং দেশে ফিরে গিয়ে তাদের কথা বলুন। ওদিকে অলিম্পিক গেমস চীনে আয়োজনের জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করে আসছেন অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। তারা এক্ষেত্রে উইঘুর ও অন্য সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে চীনের আচরণের কথা তুলে ধরছেন। তাদের অভিযোগ, উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে চীন। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে চীন।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর