নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১১। গ্রেপ্তারকৃত মো. সাদ্দাম হোসেন (২৮) সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরবাগ্যা গ্রামের খলিল মিয়ার নতুন বাড়ির মো. খলিল উল্যার ছেলে। গতকাল সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে বুধবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নাজিরপুর গ্রামের কাজী বাড়ির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার হেফাজত থেকে ১টি স্টেথোস্কোপ, ১ টি সাদা কাগজের বাক্সে ১০ টি চশমা, ১ টি আইডি কার্ড, রোগী দেখার ভুয়া প্রেসক্রিপশন, ২ টি ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, সাংকেতিক চিহ্ন সংবলিত চোখের দৃষ্টি পরীক্ষার ১ টি ভিশন কার্ড, ১টি ভুয়া চিকিৎসা প্যাড, ২টি সিম যুক্ত ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন। এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একাডেমি সার্টিফিকেটধারী কিংবা নিবন্ধনকৃত ডাক্তার বা সার্জন না হয়েও নিজেকে ডাক্তার বা সার্জন পরিচয়ে মেডিসিন, শিশু ও চক্ষু রোগী দেখার অপরাধে (ভুয়া ডাক্তার) সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে, একাডেমি সার্টিফিকেটধারী কিংবা নিবন্ধনকৃত ডাক্তার বা সার্জন না হয়েও নিজেকে ডাক্তার বা সার্জন হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে প্রতারণামূলকভাবে টাকা গ্রহণ করে আসছে বলে স্বীকার করে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।