× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শতভাগ ভোটকাণ্ড / ডিঙ্গামানিক ইউপিতে চেয়ারম্যান পদের গেজেট স্থগিত

বাংলারজমিন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার

গত ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ইউনিয়নটির ৩নং কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ২ রকম কেন তাই ফলাফল কেন বাতিল হবে না মর্মে রুল জারি করে নির্বাচন কমিশনকে প্রতিবেদনসহ জবাব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত বুধবার হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ই জানুয়ারি ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান অভিযোগ করেন, ৫ই জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে স্বাক্ষরিত ফলাফলের কাগজে ব্যাপক অনিয়ম করে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা। যেখানে ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে শতভাগ। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পূর্বের ফলাফল সংশোধন করে বেসরকারিভাবে প্রার্থীর নাম বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তা। এ নিয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান হাইকোর্ট ডিভিশনে ১৩ই জানুয়ারি একটি রিট দাখিল করেন। বুধবার বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচনী সংশ্লিষ্ট ৮ জনের উপর রুল জারি করে আদেশ দেন। বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার ইলিয়াস হোসেন কঁচি।
ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও পরাজিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান বলেন, শতভাগ ভোটকাণ্ড ঘটিয়ে নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্তরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। আমি নির্বাচন পরবর্তীতে এনিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলাম নির্বাচন কমিশনকে। এ ছাড়া নির্বাচনী বিধি ভঙের দায়ে ৩নং দেওজুরী কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিজাইডিং কর্মকর্তাকেও শোকজ করা হয়েছে। তাই আমি আমার ইউনিয়নে ফলাফল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে অভিযোগ করেছি, আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছে এবং ৪ সপ্তাহে মধ্যে নির্বাচনে সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আমি আমার ইউনিয়নের আঠারো হাজার ভোটারের দাবি নিয়ে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার শেখ জাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা এসে পৌঁছায় নাই। আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর