সিদ্ধিরগঞ্জে আবু সুফিয়ান (৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বনভোজনগামী একটি বাসের চালক- হেলপার ও যাত্রীরা। নিহত সুফিয়ান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার ভাতিজা ও মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত গোলজার হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা জজ মিয়া বাদী হয়ে বনভোজনগামী যাত্রী এবং ওই বাসের চালক, হেলপারসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায়। বনভোজনগামী বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। মামলা সূত্রমতে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় আবু সুফিয়ান (৩৫) এবং তার বন্ধু অনিক সরকার হৃদয় (২৪) মোটর সাইকেলযোগে সাইনবোর্ড হতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
এ সময় মোটর সাইকেলটিকে সিডিএম ট্র্যাভেলস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৪৬৪৯) এর একটি বাস চাপা দেয়। দুর্ঘটনার পর সুফিয়ান ও তার বন্ধু হৃদয় কোনো রকমে নিজেদের রক্ষা করেন। পরে তারা কিছু দূর এগিয়ে বাসটির গতিরোধ করেন। এ সময় বাসের চালক, হেলপারসহ বনভোজনগামী যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এক পর্যায়ে বনভোজনের যাত্রী এবং বাসের চালক ও হেলপারসহ ২০-২৫ জন সুফিয়ান ও হৃদয়কে গণপিটুনি দেয়। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, গণপিটুনির এক পর্যায়ে সুফিয়ানকে গলায় পা দিয়ে চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এবং হাইওয়ে পুলিশ এগিয়ে এলে অন্যরা সবাই পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় সুফিয়ান নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।