বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইরাকের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এজন্য দুই দেশে প্রতিনিধিদলের সফর বাড়লে বিনিয়োগের খাতগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশ’ স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ শেষ পর্যায়ে। বিশ্বের অনেক দেশ তাই এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইরাকের রাষ্ট্রদূত আব্দুল সালাম সাদ্দাম মোহাইসেনের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করতে কাজ করছে। বেশকিছু আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধাও ঘোষণা করেছে বলে জানান মন্ত্রী।
এ সময় ইরাকের রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ইরাক বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। এর জন্য ১৯৮১ সালে করা বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন ও সময়োপযোগী করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
আলোচনার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীকে ইরাক সফরের আমন্ত্রণও জানান তিনি। উল্লেখ্য, চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ইরাকে ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে ইরাক থেকে আমদানি করেছে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য। এদিকে ইরাকের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, মেডিক্যাল, পাটজাত পণ্য, হোম টেক্স এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।