× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৯ মে ২০২৩, সোমবার , ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিঃ

শিমু হত্যা /নোবেলের এলোমেলো কথায় সন্দেহ হয়

শেষের পাতা

মরিয়ম চম্পা
২১ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজধানীর গ্রীন রোডের ৩৪ গ্রীন রোড, ইন্টিমেট নিলয়, কলাবাগান ফার্স্ট লেনের বাসায় স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন। গত রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টায় জহিরুল ইসলাম ওরফে আদর নামে এক চলচ্চিত্র অভিনেতা শিমুর ছোট বোন ফাতেমাকে ফোন দিয়ে জানায় শিমুকে সকাল থেকে মুঠোফোনে পাচ্ছেন না। এ সময় ফাতেমা শিমুর বড় মেয়ে আজিহা আলিম রিদকে ফোন দিলে সে জানায় ওইদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে তার মা বাসায় নেই। স্বামী নোবেলকে ফোন দিলেও সেও ফাতেমাকে জানায়, স্ত্রী শিমু কোথায় আছেন তিনি কিছুই জানেন না। তখনো শিমুকে খোঁজাখুঁজির বিষয়টি অব্যাহত ছিল। পরদিন সোমবার রাত আনুমানিক ৯টার সময় এক পুলিশ সদস্য ফোন দিয়ে জানায়, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন হযরতপুর ইউনিয়নের কদমতলীর আলীপুর ব্রিজের ৩শ’ গজ উত্তর পাশে ঝোপের মধ্যে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। হাসপাতালের মর্গে শিমুর লাশটি শনাক্ত করি বলে উল্লেখ করেন বড় ভাই হারুন।
তিনি এজাহারে আরও বলেন, মিডিয়ায় কাজ করে বলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। বোন নিখোঁজ হওয়ার পরে গ্রীন রোডের বাসায় গিয়ে নোবেলের সঙ্গে তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে দেখতে পাই। শিমুর বিষয়ে জানতে চাইলে তার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে এলোমেলো কথাবার্তা বলে। তখন ধারণা করা হয় বোনের স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু এসএমওয়াই আব্দুল ফরহাদসহ অজ্ঞাত আরও ব্যক্তিরা শিমুকে তার গ্রীন রোডের বাসায় অথবা অন্যত্র ১৬ই জানুয়ারি রোববার সকাল ৭টা থেকে ১৭ই জানুয়ারি সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে পরিকল্পিতভাবে খুন করে লাশ গুম করতে কেরানীগঞ্জে নিয়ে ফেলে আসে।

এদিকে গত সোমবার রাতে তারা শিমুর লাশ শনাক্ত হওয়ার পরপরই তার স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদকে পুলিশ আটক শেষে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল হত্যার কথা স্বীকার করে। পরদিন জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের কথা জানান। এর পরপরই কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হলেও এজাহারে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই চুন্নু মিয়া মানবজমিনকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তসাপেক্ষে মামলা হয়েছে। তাই তাদেরকে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনেও আসামিদেরকে ‘তদন্তে প্রাপ্ত আসামি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর