আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা তালেবানরা হাতে নিয়েছে পাঁচ মাস হয়ে গেছে, কিন্তু ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স (NRF) এখনও তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। চরমপন্থীদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা ।
এনআরএফ একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভিডিওতে তারা আফগানিস্তানের জনগণকে চুপ না থাকার জন্য অনুরোধ করেছে । একটি পৃথক অডিও বার্তায়, এনআরএফ নেতা আহমদ মাসুদ স্পষ্ট করেছেন যে, তাদের সংগ্রাম একটি নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠী বা অঞ্চলের জন্য নয়, আফগানিস্তানের সম্পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত কিছু ছবিতে দেখা গেছে যে, NRF যোদ্ধাদের কাছে এখন তালেবানের গাড়ি ধ্বংস করার জন্য অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (ATGM) রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উন্নত টার্গেটিং সিস্টেম সম্বলিত, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।
ইতিমধ্যেই একজন তালেবান মুখপাত্র, মহিলা সমাজকর্মী তামানা পারিয়ানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তামানার অভিযোগ ছিল যে, তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে তার বাড়িতে প্রবেশ করেছিল এবং তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।
তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন বিবিসিকে বলেছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি, ওই মহিলা কর্মী বিদেশে আশ্রয় খোঁজার জন্য ভিডিওটি করেছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বৃহস্পতিবার দাবি করেছিলেন যে, ১০ জন সশস্ত্র লোক বুধবার রাতে তামানা পারিয়ানির অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালায়, দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওই মহিলা ও তার তিন বোনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, মহিলাদের জন্য বাধ্যতামূলক ইসলামিক হেডস্কার্ফ বা হিজাবের বিরুদ্ধে রবিবার তালেবান বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন তামানা সহ আরো ২৫ জন। অভিযানের কিছু মুহূর্ত আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে পরিয়ানির আতঙ্কিত হয়ে সাহায্যের জন্য প্রার্থনার ফুটেজ দেখা গেছে ।
তালেবান নেতারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আইএসআই-এর পুতুল বলেও আক্রমণ করেছেন। তালেবানের একজন মুখপাত্র স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন, ''পাকিস্তান সরকার জাতীয়তাবাদী আফগানদের ইসলামিক আমিরাতের বিরুদ্ধে উসকানি দেয়ার চেষ্টা করছে। এটা তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। '' তালেবান মুখপাত্র আরও বলেছেন যে, পাকিস্তান শিগগিরই ভেঙে পড়বে এবং এটি FATF কালো তালিকাতেই থাকবে।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস