মাঝ আকাশে এক যাত্রী মাস্ক খুলে ফেলায় ফিরে এলো বিমান। শত চেষ্টা করেও তাকে মাস্ক পরাতে পারেনি বিমানকর্মীরা। ওই নারী যাত্রী যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি থেকে লন্ডনগামী বোয়িং ৭৭৭ বিমানে উঠেছিলেন। ঘটনার সময় বিমানে ছিলেন ১২৯ যাত্রী। কিন্তু বিমান উড্ডয়নের পর মাঝ আকাশে মুখ থেকে মাস্ক খুলে ফেলেন তিনি। এ নিয়ে বাকবিত-া চললে বিমান ঘুরিয়ে ফেরত যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। ঘটনায় ওই নারীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে আমেরিকান এয়ারলাইনস।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, উড্ডয়নের পর প্রায় দেড় ঘন্টা আটলান্টিকের উপর দিয়ে চলেছিল ওই বিমান। এয়ারলাইনের মুখপাত্র লরা মাসভিদাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, একজন বিঘœকারী যাত্রী মাস্ক পরার নিয়ম অমান্য করায় বোয়িং ৭৭৭ বিমানটিকে মিয়ামিতে ফিরে আসতে হয়েছে।
ওই যাত্রীর সামনের আসনে বসেছিলেন স্টিফ ফ্রিম্যান নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, বিঘœকারী বিমানে বসেই প্রচুর মদ খাচ্ছিলেন এবং বিমানকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিলেন। ওই বিঘœকারী নারীকে একাধিক মাস্ক দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি তা পরতে অস্বীকৃতি জানান।
জানা গেছে ওই নারীর বয়স ৪০-এর বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিমানের ভিতরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এব্যাপারে কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করে না সেদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, মাঝ আকাশে কোনও বাণিজ্যিক বিমানের ভিতরে যদি কোনও ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তার বিচার হবে যে বিমানসংস্থা বিমানটি ওড়াচ্ছে সে যে দেশে নথিভুক্ত তার আইন অনুসারে। সেই বিধি অনুসারে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমান যতক্ষণ আকাশে থাকবে ততক্ষণ সেখানে বলবৎ থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন।
Kazi
২১ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ৩:৫৯Proper decision. This type of agonizing passengers should never be allowed to fly.