আফ্রিকান নেশন্স কাপে আজ শুরু হচ্ছে শেষ ষোলোর লড়াই। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বুরকিনা ফাসো ও গ্যাবন। অন্য ম্যাচে নাইজেরিয়ার প্রতিপক্ষ তিউনিসিয়া। গ্রুপ পর্বের লড়াই ছিল বেশ নাটকীয়। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আলজেরিয়া। বাদ পড়েছে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ঘানা। চমক থাকতে পারে শেষ ষোলোতেও।
বুরকিনা ফাসো-গ্যাবনক্যামেরুনের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করে ২০১৩ সালের রানার্সআপ বুরকিনা ফাসো।
পরের দুই ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট অর্জন করে ‘এ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে শেষ ষোলোতে এসেছে তারা। অন্যদিকে অধিনায়ক পিয়ের এমেরিক অবামেয়াংয়ের অনুপস্থিতিতেও ‘বি’ গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেয় গ্যাবন।
নাইজেরিয়া-তিউনিসিয়াগ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচই জিতেছে ‘সুপার ঈগল’ খ্যাত নাইজেরিয়া। তিউনিসিয়ার যাত্রাটা বেশ রোমাঞ্চকর। প্রথম দুই ম্যাচেই হার। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে মৌরিতানিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় জয়ে তৃতীয় দল হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে তিউনিসিয়া।
সেনেগাল-কেপ ভার্দেগ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে মাত্র এক গোল পেয়েছে দু’বারের রানার্সআপ সেনেগাল। সেটিও সাদিও মানের পেনাল্টির কল্যাণে। তবে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের সেরা দল হয় তারা। ৪ পয়েন্টের সুবাদে ‘এ’ গ্রুপ থেকে তৃতীয় সেরা দল হিসেবে শেষ ষোলোতে এসেছে কেপ ভার্দে।
মালি-ইকুয়েটোরিয়াল গিনিগ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেলেছে মালি। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের সেরা দল হিসেবে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেয় তারা। ১৯৭২ সালের রানার্সআপদের প্রতিপক্ষ ইকুয়েটোরিয়াল গিনির সর্বোচ্চ সাফল্য একবার সেমিফাইনালে খেলা। তবে ‘ই’ গ্রুপে রানার্সআপ হওয়া দলটিকে সমীহ করতেই হবে মালির।
গিনি-গাম্বিয়া‘বি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে শেষ ষোলোতে এলেও শেষ ম্যাচে পুঁচকে জিম্বাবুয়ের কাছে হারটা মানসিক ধাক্কা দিয়েছে গিনিকে। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সাবেক রানার্সআপদের প্রতিপক্ষ গাম্বিয়া, যারা ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে এসেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে।
ক্যামেরুন-কমোরোসপ্রথমবার নেশন্স কাপে অংশ নিয়েই চমক কমোরোসের। গ্রুপ পর্বে ঘানাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দেয় তারা। ৩ ম্যাচে এক জয় নিয়ে তৃতীয় হয়ে শেষ ষোলোতে এসেছে দলটি। তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগিতক ক্যামেরুন, যারা আসরের দ্বিতীয় সর্বাধিক (৫) চ্যাম্পিয়ন।
আইভরি কোস্ট-মিশরমোহাম্মদ সালাহর মিশর ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে উতরে যায় শেষ ষোলোতে। আইভরি কোস্ট কোনো ম্যাচ হারেনি। ‘ই’ গ্রুপে শীর্ষ স্থান অর্জন করে দু’বারের চ্যাম্পিনরা। রেকর্ড ৭ বারের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে লড়াইটা জমজমাই হবে তাদের।
মরক্কো-মালাবিটুর্নামেন্টের অন্যতম আন্ডারডগ মালাবি নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে সেনেগালের পয়েন্টে ভাগ বসায়। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে এসেছে তারা। অন্যদিকে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষ স্থান অর্জন করে ১৯৭৬ সালের চ্যাম্পিয়ন মরক্কো।