প্রিমিয়ার লীগে যুতসই সময় কাটছে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। নতুন বছরে টানা দুই ম্যাচে ড্র সঙ্গী হয় রেড ডেভিলদের। এরপর ব্রেন্টফোর্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে স্বরূপে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও ফের চেনাছন্দ হারায় রালফ রাংনিকের দল। শনিবার প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে জয় পেলেও বেগ পোহাতে হয়েছে তারকায় ঠাসা ম্যানইউকে। ইনজুরি টাইমে মার্কাস রাশফোর্ডের গোলে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারায় তারা।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ২৬ ম্যাচে ২১ জয় ম্যানইউর। আর ঘরের মাঠে ২০০৭ সালের পর ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ হারেনি রেড ডেভিলরা। টানা ১৪ ম্যাচ ধরে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে ম্যানইউ।
ওয়েস্ট হ্যাম কোচ ডেভিড ময়েজ এখন পর্যন্ত ১৫বার ম্যানইউর মুখোমুখি হয়েছেন। তবে জয়ের মুখ দেখেননি কখনোই।
বল দখল কিংবা আক্রমণ- ঘরের মাঠে সবদিক দিয়েই এগিয়ে ছিল ম্যানইউ। ৫৭ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৮টি শট নেয় স্বাগতিকরা। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৩টি। অপরদিকে ৪৩ শতাংশ বল দখলে রাখা ওয়েস্ট হ্যাম ৬টি শটের ১টি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ্য হয়।
প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ম্যানইউ। ওয়েস্ট হ্যামও ব্যর্থ হয়েছে আক্রমণ তৈরি করতে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুযোগ আসে ম্যানইউ মিডফিল্ডার ফ্রেডের সামনে। ব্রাজিলিয়ান তারকার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন সফরকারী গোলরক্ষক আলফুঁস আরিওলা।
৫৮তম মিনিটে কর্নারে রাফায়েল ভারানের হেড পোস্টের সামান্য ওপর দিয়ে যায়। চার মিনিট পর দিয়োগো দালোতের জোরালো শট লক্ষ্যে থাকেনি।
নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ওয়েস্ট হ্যাম। কাছ থেকে টমাস সুচেকের হেড পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।
তিন মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে র্যাশফোর্ডের ওই গোল। এদিনসন কাভানির পাসে কাছ থেকে বল জালে পাঠান তরুণ এই ফুটবলার। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা এই দুই খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে জয়ের উল্লাসে ভাসে স্বাগতিকরা।
২২ ম্যাচে ১১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে নেমে গেছে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড।