× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে শাবি'র সাবেক ১০৫ ছাত্রলীগ নেতার আহ্বান

শিক্ষাঙ্গন

শাবি প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২৩, ২০২২, রবিবার, ৫:০০ অপরাহ্ন

ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তিন দফা দাবি জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৫ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

শনিবার শাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের এক জরুরি ভার্চুয়াল সভা শেষে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

ছাত্র আন্দোলনে উদ্ভূত সংকটে উদ্বেগ জানিয়ে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়- অবিলম্বে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের অনশন ভাঙানো প্রয়োজন। এ জন্য তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। যে বিশেষ মহল আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশি আক্রমণ পরিচালনার পরিবেশ তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ছাত্রছাত্রীদের ওপর কথিত পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করেছে, তা দ্রুত প্রত্যাহার করা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভার্চুয়াল সভায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রাণহানির সংশয়ে পড়া বিপন্ন নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতারা।

ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের (১৯৯১-১৯৯৩) প্রথম সভাপতি মো. ফরিদ আলম। সভাটি পরিচালনা করেন চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের মকদ্দুস-স্বাধীন কমিটির (১৯৯৫-৯৭) সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগের প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে সর্বশেষ ব্যাচের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। দীর্ঘ চার ঘণ্টার এই সভায় ক্যাম্পাস পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে সবাই আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।

গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে শুরু প্রভোস্ট বিরোধী আন্দোলনে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হলে ভিসির পদত্যাগের দাবি উঠে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনসহ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর