× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে দু’টি ট্রলারে ডাকাতি: অর্ধ কোটি টাকা লুট

বাংলারজমিন

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) সংবাদদাতা
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ব্যবসায়ীদের দু’টি ট্রলারে দিনে দুপুরে ডাকাতি করে অর্ধ কোটি টাকা লুটে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩ জন। আহতদের মধ্যে আক্কাস শেখ (৩৫) ও উজ্জ্বল মাঝি (২৫) কে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা সকলে মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ ও গৌরাঙ্গ বাজারের ব্যবসায়ী। গতকাল বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর সদরের মেঘনা নদীর সফরমালী লঞ্চঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা আহত ব্যবসায়ী হাকিম আলী গাজী জানায়, মেঘনা নদীর সফরমালী লঞ্চঘাটের কাছে আসলে স্পিডবোট নিয়ে ৮-৯ জন মুখোশধারী কাটারাইফেল, শটগান, রামদা ও রড নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা ও মোবাইল লুটে নিয়ে যায়। পরে তারা মেঘনা নদীর উত্তর দিকে চলে যায়। ওদের গায়ে লাইফ জ্যাকেট ছিল।
ট্রলারের মাঝি উজ্জল শেখ জানায়, আমার ট্রলারে ডাকাতরা স্পিডবোট দিয়ে উঠেই মারধর শুরু করে। কয়েকজন ব্যবসায়ী ট্রলারে সঙ্গে আসেনাই। তারা আমার কাছে চাঁদপুরের পার্টিদেরকে পৌঁছে দেয়ার জন্য টাকা দেয়। সেই টাকার পরিমাণ ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। সব টাকাই ডাকাতরা নিয়ে গেছে। আহত পাইকারি মুদি ব্যবসায়ী আক্কাস শেখ জানায়, আমার কাছে ৯ লাখ টাকা ছিল। টাকা দিতে দেরি করায় রড দিয়ে আমার হাত ভেঙে ফেলে এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়। তেলের ডিলার ব্যাপারী ট্রেডার্সের মালিক আতাউর রহমান সবুজ জানায় তার টাকা ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার, তেলের ডিলার নাইমা ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ হোসেন জানায় তার টাকা ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার, মরিচের পাইকার খোকন মেম্বার জানায় তার টাকা ৩ লাখ ১০ হাজার, গৌরাঙ্গ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী কামাল মল্লিক জানায় তার টাকা ৩ লাখ ১৫ হাজার, রহম আলী গাজী জানায় তার ১ লাখ ১০ হাজার টাকা যা ডাকাতরা নিয়ে গেছে। কিছু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি। চাঁদপুর নৌ-পুলিশের এসপি কামরুজ্জামান জানায়, আমি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুর সদর ও মোহনপুর নৌ-পুলিশের ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দিয়েছি। পরপর নৌ-পুলিশের এডিশনাল এসপিকেও পাঠিয়েছি। ব্যবসায়ীদের মিসিং মোবাইলের নম্বর আমার কাছে চলে আসছে, আমি সেগুলি নিয়ে ডাকাতদের ধরার বিষয়ে যা যা করণীয় সবই করছি। আশা করি ডাকাতদের ধরতে সক্ষম হবো। ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসা চাঁদপুর নৌ-পুলিশের এডিশনাল এসপি বেলায়েত হোসেন জানায়, ডাকাতদের ধরার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজই আমরা শুরু করে দিয়েছি। তবে- এই ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের যোগসাযশ থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। এতো টাকা নিয়ে নৌ-পথে মোকামে গেলে আমাদের সহযোগিতা নিলে আপনাদের জন্য সহজ হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর