মালয়েশিয়ায় কমনওয়েলথ গেমস বাছাইয়ে ছুটে চলেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের জয়রথ। টানা তিন ম্যাচে তিন জয় তুলে নিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সমসংখ্যক ম্যাচ জিতেছে শ্রীলঙ্কাও। মূলপর্বে পৌঁছাতে আজ বাছাইপর্বের অঘোষিত ফাইনালে লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
৫ দলের এই বাছাইপর্ব থেকে স্রেফ একটি দল সুযোগ পাবে গেমসের মূল পর্বে খেলার। আজ দুই দলের লড়াইয়ে বিজয়ী দল খেলবে আগামী জুলাই-আগাস্টে বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসে।
স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় দিয়ে শুরু। দ্বিতীয় ম্যাচে কেনিয়াকে ৮০ রানে হারায় টাইগ্রেসরা। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও অব্যাহত রইল বাংলাদেশের মেয়েদের জয়ের ধারা। রোববার স্কটিশদের ৯ উইকেটে হারায় টাইগ্রেসরা।
শ্রীলঙ্কাও বাছাইয়ের তিন ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৯৩ রানের জয় দিয়ে শুরু। এরপর কেনিয়াকে ৯ উইকেটে হারায় লঙ্কান মেয়েরা। তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পায় ১০৯ রানের জয়।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচটা যে জমজমাট হবে তা অনুমেয়। হেড টু হেড পরিসংখ্যানে অবশ্য লঙ্কানদের চেয়ে এগিয়ে টাইগ্রেসরা। আন্তর্র্জাতিক টি- টোয়েন্টি দুদলের ৫ দেখায় ৪বারই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
রোববার কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি ওভালে বাছাইপর্বের তৃতীয় ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে বোলিং করে বাংলাদেশ। আর সালমা-সুরাইয়াদের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় স্কটল্যান্ড। ১ উইকেট হারিয়ে ২৮ বল বাকি থাকতেই জয় বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ নারী দল।
স্কটল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে শুরুতেই জোড়া আঘাত করেন সুরাইয়া আজমিন। দলীয় ১২ রানে দুই উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। তৃতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়েন কেটি ম্যাকগিল ও সারাহ ব্রাইস। ম্যাকগিলকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন নাহিদা আক্তার। দলীয় ৫০ রানে ম্যাকগিলের সংগ্রহ ১৩ বলে ২২। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে স্কটল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। টাইগ্রেসদের বোলিং তোপে মাত্র ২৭ রানে বাকি ৭ উইকেট হারায় স্কটিশরা।
বাংলাদেশের সালমা, নাহিদা, সুরাইয়া ও মেঘলা দুইটি করে উইকেট শিকার করেন।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন শামীমা সুলতানা। তবে আর কোনো বিপদ হতে দেননি মুর্শিদা আক্তার ও ফারজানা হক। অর্ধশতক হাঁকান মুরশিদা। ৬ চার ও ১ ছক্কায় মুরশিদা ৫৫ বলে ৫০ রান করেন। ফারজানা ৩৬ বলে করেন ২০ রান। ১৫.২ ওভারেই জয় বন্দরে পৌঁছে যায় বাঘিনীরা।