× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফতুল্লায় পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ ঘোষণায় শ্রমিক বিক্ষোভ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার

শ্রম আইন অনুযায়ী পাওনাদি পরিশোধ না করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এন আর গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রহিমা আজিজ নিটস্পিন নামে সোয়েটার কারখানা বন্ধ করায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে শ্রমিকরা।
গতকাল বেলা ১১টায় কারখানার কয়েকশ’ শ্রমিক শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে মিছিল ও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে। এর আগে সকাল ১০টা থেকে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের দাবি, বেআইনিভাবে ঘোষিত লে-অফ প্রত্যাহার করে কারখানা পুনরায় চালু করতে হবে। তা নাহলে শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করতে হবে। এই দুই দাবিতে সকালে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং নিট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ’তে লিখিত দিয়েছেন শ্রমিকরা।
মানববন্ধনে শ্রমিকরা বলেন, এই কারখানায় সর্বনিম্ন ২ থেকে ১৮ বছর ধরে কাজ করেন এমন শ্রমিকও রয়েছেন। কারখানা প্রতিষ্ঠার পর গতবছর সর্বোচ্চ ক্রয়াদেশ মোতাবেক কাজ সম্পন্ন করেছেন তারা। করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে ক্রয়াদেশ সম্পন্ন করেছেন। এমনকি করোনার টিকা দেয়ার ব্যবস্থাও কারখানার মালিকপক্ষ করে দেয়নি।
শ্রমিকদের পরিশ্রমের ফলে মালিকপক্ষ লভ্যাংশ বুঝে পাওয়ার পর মিথ্যা অজুহাতে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে শ্রমিকদের পথে নামতে বাধ্য করেছে। সদর উপজেলার ফতুল্লার বিসিক সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত রহিমা আজিজ সোয়েটার কারখানার সুইং বিভাগে ২০০৪ সাল থেকে কাজ করেন বলে জানান ফোরকান মোল্লা। তিনি বলেন, গত ডিসেম্বর থেকেই তারা শুনেছেন মালিকপক্ষের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে। এ নিয়ে কারখানার নির্বাচিত পিসি কমিটির সদস্যরা (শ্রমিক প্রতিনিধি) মালিকপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে। তখন কারখানা বন্ধ হবে না বলে তাদের আশ্বস্ত করেন মালিকপক্ষ। তবে গত ২০শে জানুয়ারি সারাদিন কাজ করার পর বিকালে কারখানার গেটে লে-অফের নোটিশ টাঙানো হয়। কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধি রাসেল তালুকদার বলেন, গতবছর প্রচুর ক্রয়াদেশ (অর্ডার) ছিল। দিন-রাত পরিশ্রম করে শ্রমিকরা তা সম্পন্ন করেছেন। অথচ কাচামাল নেই অজুহাত দিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। আইন অনুযায়ী পাওনাদি পরিশোধ না করে সুপরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের জীবিকার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে থাকবেন বলেও জানান এই শ্রমিক নেতা। মানববন্ধনে শ্রমিকদের নেতৃত্ব দেন ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জেলা সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন রাজু, শ্রমিক লীগের ফতুল্লা আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। তারা বলেন, কারখানা লে-অফ ঘোষণা করার ক্ষেত্রে শ্রম আইনে কিছু নিয়ম রয়েছে। পাওনাদি পরিশোধেরও বিষয় রয়েছে। তেমন কিছু না করে এইভাবে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা বেআইনি। শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী কারখানা পুনরায় চালু কিংবা পাওনাদি পরিশোধ না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর