ভিসির পদত্যাগের বিষয়টি ভিসির পদত্যাগের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ার ভুক্ত ভুক্ত------যত টা নাসরকারের এখতিয়ার তার চাইতে বেসি এখতিয়ার জিনি পদত্যাগ করবেন তার উপর, তিনি পদে না থাকতে চাইলে বা এমন কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে যে ঐ পরিস্থিতি তার পদত্যাগে প্রশমিত হবে সেই অবস্থায় তিনি বিনা ক্লেশে পদত্যাগ করতে পারেন; পদে না থাকতে চাইলে এমনকি প্রেসিডেন্টও পদত্যাগ করতে পারেন ।এখানে হ-য-ব-র-ল বোঝানোর অবকাশ নেই!
এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক পরিষদ অর্বাচীনের মতো ভিসি ফরিদ উদ্দিনের পক্ষাবলম্বন করে মূর্খতার পরিচয় দিয়েছেন। আসলে জুলুমের রাজত্বটা মনে হচ্ছে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।শিক্ষার্থীর ওপর জুলুম। শ্রমিকের ওপর জুলুম। পথচারী ও যানবাহনে যাত্রী সাধারণের ওপর জুলুম। ঘরে বাইরে সর্বত্র চলছে জুলুমের রাজত্ব। তবে কি আমাদের বসবাস জুলুমের অভয়ারণ্যে? জুলুম সম্পর্কে কুরআনে অনেক আয়াত আছে। জুলুম আল্লাহ তায়ালা হারাম করে দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন, ‘আর অবশ্যই আমি বহু জাতিকে হালাক তথা ধ্বংস করে দিয়েছি তাদের জুলুমের কারণে। আর তাদের কাছে তাদের রাসূলরা সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ এসেছিল, কিন্তু তারা ঈমান গ্রহণ করেনি। আর এভাবে আমি অপরাধী জাতিকে শাস্তি দিয়ে থাকি।’ সূরা ইউনুস, আয়াত-১৩। যারা জুলুম করে তাদেরকে জালেম বলা হয়। জালেমের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যারা জুলুম করেছে তাদেরকে বলা হবে তোমরা স্থায়ী আজাব ভোগ করো। তোমরা যা অর্জন করতে তোমাদেরকে কেবল তারই জাজা তথা প্রতিদান দেয়া হচ্ছে।’ সূরা ইউনুস, আয়াত-৫২। মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর কতই না উত্তম হতো যদি জালিমরা দুনিয়াবি কোনো শাস্তি দেখে উপলব্ধি করে নিত যে, সব ক্ষমতা শুধু আল্লাহ তায়ালার জন্য এবং নিশ্চয়ই আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।’ সূরা বাকারা, আয়াত-১৬৫। জালিমদের যখন শাস্তি দেয়া হবে বিন্দুমাত্রও কমানো হবে না। বরং তারা যে পরিমাণ জুলুম করেছে, তারই প্রতিদান দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর জালিমরা যখন আজাব প্রত্যক্ষ করবে, তখন তাদের থেকে বিন্দুমাত্র আজাব হ্রাস বা কমানো হবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না।’ সূরা নাহল, আয়াত-৮৫। যারা নিত্য জুলুম-অত্যাচার করে যাচ্ছে, তারা হয়তো ভাবছে, আল্লাহ তায়ালা তাদের ব্যাপারে গাফিল তথা অমনোযোগী। আল্লাহ তাদের জুলুম-অত্যাচার দেখছেন না। অথচ কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর জালিমরা যা করছে, মহান আল্লাহকে তুমি সেই বিষয়ে মোটেও গাফিল মনে করো না। আল্লাহ তো তাদেরকে অবকাশ দিচ্ছেন, ওই পর্যন্ত যে, যেদিন চোখ পলকহীন তাকিয়ে থাকবে। তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে থাকবে, তাদের দৃষ্টি নিজেদের দিকে ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূন্য।’ সূরা ইবরাহিম, আয়াত-৪২-৪৩। বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপিঠ। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এখানে অতি উচ্চ মানের নৈতিকতা শিক্ষার গ্রন্থ মহাগ্রন্থ আল কুরআন পড়ার শেখার সর্বজনীন ব্যবস্থা নেই। নৈতিকতার শিক্ষা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হলে কর্মজীবনে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়া সহজেই সম্ভব হতোনা। ভিসি মহোদয়গণ সম্মানীয় পূজনীয়। তাঁরা এতোটাই অমানবিক, অসহিষ্ণু ও নিষ্ঠুর আচরণ কিভাবে করতে পারেন তা সত্যিই বিষ্ময়কর। যতো দ্রুত শাবিপ্রবির উপাচার্য মহোদয় করবেন পদত্যাগ ততোই তাঁর জন্য সম্মানজনক। পানি অনেক ঘোলাটে হয়েছে। আরও ঘোলা করলে দেশময় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে। বুঝতে হবে যাঁকে শিক্ষার্থীরা চায়না, যাঁর কাছে তারা পড়াশোনা করতে অনীহ তাঁকে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া সম্মানের বরখেলাপ।
কার প্রয়োজন ভিসির? ছাত্র-ছাত্রীদের নাকি সরকারের? সরকারের কি প্রয়োজন এই রকম নির্লজ্জ ভিসির, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা আমরণ অনশন করছে?
সস
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ১২:২০ভিসির শরীরের চামড়া গন্ডারের চেয়েও মোটা। এতো কিছু হওয়ার পরেও বিতর্কিত ভিসি পদত্যাগ করছেন না।