ভিসি হিসেবে নিযুক্তির চুক্তিটি অপ্রত্যাহারযোগ্য নয়। মেয়াদ সমাপনান্তে সয়ংক্রিয়ভাবে তা বাতিল হয়ে যাবে ।এমন দায়িত্ব অনিবার্য হলো কিভাবে- যা তাঁর চাকুরীর নিরাপত্তায় কোন বাধা নয়। তাই অবস্থার গুরত্বকে উপেক্ষা করে জয় পরাজয় খেলায় মত্ত ভিসি মহোদয়ের সুবুদ্ধির উদয় হোক।
Anybody who has minimum dignity and self esteem would have resigned when they lost the confidence of the people whom he represents.
'মরণাপন্ন শিক্ষার্থীদের ডাক শুনতে রাজী নন যে ভিসি' শিরোনামে প্রথম আলোর অনলাইনে মতামত বিভাগে লেখক ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ ২৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে লিখেছেন, 'দীপু মনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়ে ৪৬ মাসে ১৪৯ বার বিদেশে গেছেন। দেশের বাইরে থেকেছেন ৪৫২ দিন। এ রকম গতিশীল মানুষ হয়েও ঢাকা থেকে আধঘণ্টার বিমানযাত্রায় তিনি সিলেটে যেতে পারলেন না! ঢাকায় গাড়ি করে অফিসে যেতেও তো এর চেয়ে বেশি সময় লাগে না। শিক্ষামন্ত্রী তো অভিভাবক ও মা-ও বটেন। অভিভাবক হিসেবে কিছুটা দরদ তো আমরণ অনশনকারী ‘বাচ্চারা’ পেতে পারতেন। সরকারের প্রতিষ্ঠান ও তাদের কর্তারা দিনকে দিন অমানবিক হয়ে পড়ছেন। এই ঘটনা তার আরেকটা উদাহরণ হয়ে থাকল।' ডাক্তার দীপু মনি যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি যথেষ্ট করিৎকর্মা ছিলেন। তাঁর কর্মতৎপরতা সকলের দৃষ্টি কেড়েছিলো। এখন কেনো যেনো তিনি অবশ হয়ে পড়েছেন বোঝা মুশকিল। কথায় আছে, প্রত্যেক নারীর হৃদয় জুড়ে থাকে মাতৃত্বের মমতা। তাঁর সেই মমতা এখন কোথায় উবে গেলো। কুমার বিশ্বজিৎ গেয়েছেন, 'একটা চাঁদ ছাড়া রাত আঁধার কালো- মায়ের মমতা ছাড়া কে থাকে ভালো।' আমার দৃঢ় বিশ্বাস মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী একবুক মায়ের মমতা নিয়ে যদি সিলেট যেতেন শিক্ষার্থীরা আবেগাপ্লুত হয়ে মায়ের অধিকার চেয়ে সন্তানের কচিমাখামুখে তাঁর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়তো, নিজেদের দুঃখের, বঞ্চনার কথা তাঁকে শোনাতেন। তিনিও মায়ের মমতা দিয়ে তাদের কথা শোনাতেন, তাদের দুঃখ ঘুচে যেতো। এই ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হতো। এখন জলে তরঙ্গ ওঠেছে। জল ঘোলা হয়েছে। এই জলের তরঙ্গ থামানোর উপায় কি? ঘোলাটে জল পরিষ্কার করার উপায় কি? কে নেবে সেই দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সরকারের পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা এতোটা দেরি করেছেন কোন যুক্তিতে। এখন দেখার পালা সরকার কিভাবে মরণাপন্ন শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। তবে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সিলেটে যাওয়ার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। দেরিতে হলেও সিলেটে গিয়ে তিনি একটি উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেন এবং একটি মাইলফলক রচনা করতে পারেন। মায়ের দরদ ভরা মন নিয়ে তিনি ছাত্র ছাত্রীদের কাছে হাজির হলে আমার বিশ্বাস নিমিষেই তাদের মনের ক্ষোভ দুঃখ দূর হয়ে যাবে। প্রকারন্তরে তিনি মমতাময়ী মায়ের খেতাবে ভূষিত হবেন।
nasir uddin
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ১:১১We have seen time and again, in the recent past, the VCs turned debatable. There were enough solid reasons behind it. Examples are Jagannath University VC, Begum Rokeya Unversity VC, Jahangir Nagar University VC and lastly Shahjalal VC. Mostly these VCs were employed based on political consideration. This is so wrong. The country is paying for it now.