× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উত্তপ্ত শাবি, মশাল মিছিল, ভিসির কুশপুত্তলিকা দাহ

অনলাইন

শাবি প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২৪, ২০২২, সোমবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন

ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে টানা পাঁচদিন অনশন করার পরও কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রোববার রাত সাড়ে ৭টায় ভিসির বাস ভবনের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করার পরপরই উত্তপ্ত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে একটি মশাল মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে রাত ১০টায় একই স্থানে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মধ্য রাতে আবারও মশাল মিছিল দিবে বলে ঘোষণা দেয় তারা। এদিকে শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসি পদত্যাগ না করলে পর্যায়েক্রমে পানি ও গ্যাস লাইনও বিচ্ছিন্ন করা হবে। তাছাড়া রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকেও বিক্ষোভ মিছিল করেছিল শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ার ভুক্ত এক্ষেত্রে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
রোববার ভিসি'র পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে দুপুর আড়াইটায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সাধারণ সভা করে শিক্ষকবৃন্দ। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ ঘন্টা মিটিং শেষে রাত ৮টায় চারটি বিষয় উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় তারা। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলশি কুমার দাশ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহিবুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। অবিলম্বে সরকার কর্তৃক নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর জন্য যা যা দরকার তা অনতিবিলম্বে করতে হবে এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি। ভিসির পদত্যাগের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ার ভুক্ত এক্ষেত্রে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি কোন রকম সহিংসতা সম্পৃক্ত না হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। গত বুধবার বিকেল ৩টা থেকে ২৪ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করে, এর মধ্যে একজনের বাবা হার্ট অ্যাটাক করায় সে অনশন ভেঙে বাড়ি চলে যায়। এছাড়া গতকাল শনিবার গণ অনশনের ডাকের অংশ হিসেবে আরও ৪ শিক্ষার্থী নতুন করে আমরণ অনশন শুরু করে। এদের মধ্যে ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও ১১ জন ক্যাম্পাসে অনশন করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
nasir uddin
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ১:১১

We have seen time and again, in the recent past, the VCs turned debatable. There were enough solid reasons behind it. Examples are Jagannath University VC, Begum Rokeya Unversity VC, Jahangir Nagar University VC and lastly Shahjalal VC. Mostly these VCs were employed based on political consideration. This is so wrong. The country is paying for it now.

Md. Harun al-Rashid
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ১০:২৩

ভিসি হিসেবে নিযুক্তির চুক্তিটি অপ্রত্যাহারযোগ্য নয়। মেয়াদ সমাপনান্তে সয়ংক্রিয়ভাবে তা বাতিল হয়ে যাবে ।এমন দায়িত্ব অনিবার্য হলো কিভাবে- যা তাঁর চাকুরীর নিরাপত্তায় কোন বাধা নয়। তাই অবস্থার গুরত্বকে উপেক্ষা করে জয় পরাজয় খেলায় মত্ত ভিসি মহোদয়ের সুবুদ্ধির উদয় হোক।

Shobuj Chowdhury
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ১০:১৮

Anybody who has minimum dignity and self esteem would have resigned when they lost the confidence of the people whom he represents.

আবুল কাসেম
২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ৯:১০

'মরণাপন্ন শিক্ষার্থীদের ডাক শুনতে রাজী নন যে ভিসি' শিরোনামে প্রথম আলোর অনলাইনে মতামত বিভাগে লেখক ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ ২৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে লিখেছেন, 'দীপু মনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়ে ৪৬ মাসে ১৪৯ বার বিদেশে গেছেন। দেশের বাইরে থেকেছেন ৪৫২ দিন। এ রকম গতিশীল মানুষ হয়েও ঢাকা থেকে আধঘণ্টার বিমানযাত্রায় তিনি সিলেটে যেতে পারলেন না! ঢাকায় গাড়ি করে অফিসে যেতেও তো এর চেয়ে বেশি সময় লাগে না। শিক্ষামন্ত্রী তো অভিভাবক ও মা-ও বটেন। অভিভাবক হিসেবে কিছুটা দরদ তো আমরণ অনশনকারী ‘বাচ্চারা’ পেতে পারতেন। সরকারের প্রতিষ্ঠান ও তাদের কর্তারা দিনকে দিন অমানবিক হয়ে পড়ছেন। এই ঘটনা তার আরেকটা উদাহরণ হয়ে থাকল।' ডাক্তার দীপু মনি যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি যথেষ্ট করিৎকর্মা ছিলেন। তাঁর কর্মতৎপরতা সকলের দৃষ্টি কেড়েছিলো। এখন কেনো যেনো তিনি অবশ হয়ে পড়েছেন বোঝা মুশকিল। কথায় আছে, প্রত্যেক নারীর হৃদয় জুড়ে থাকে মাতৃত্বের মমতা। তাঁর সেই মমতা এখন কোথায় উবে গেলো। কুমার বিশ্বজিৎ গেয়েছেন, 'একটা চাঁদ ছাড়া রাত আঁধার কালো- মায়ের মমতা ছাড়া কে থাকে ভালো।' আমার দৃঢ় বিশ্বাস মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী একবুক মায়ের মমতা নিয়ে যদি সিলেট যেতেন শিক্ষার্থীরা আবেগাপ্লুত হয়ে মায়ের অধিকার চেয়ে সন্তানের কচিমাখামুখে তাঁর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়তো, নিজেদের দুঃখের, বঞ্চনার কথা তাঁকে শোনাতেন। তিনিও মায়ের মমতা দিয়ে তাদের কথা শোনাতেন, তাদের দুঃখ ঘুচে যেতো। এই ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হতো। এখন জলে তরঙ্গ ওঠেছে। জল ঘোলা হয়েছে। এই জলের তরঙ্গ থামানোর উপায় কি? ঘোলাটে জল পরিষ্কার করার উপায় কি? কে নেবে সেই দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সরকারের পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা এতোটা দেরি করেছেন কোন যুক্তিতে। এখন দেখার পালা সরকার কিভাবে মরণাপন্ন শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। তবে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সিলেটে যাওয়ার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। দেরিতে হলেও সিলেটে গিয়ে তিনি একটি উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেন এবং একটি মাইলফলক রচনা করতে পারেন। মায়ের দরদ ভরা মন নিয়ে তিনি ছাত্র ছাত্রীদের কাছে হাজির হলে আমার বিশ্বাস নিমিষেই তাদের মনের ক্ষোভ দুঃখ দূর হয়ে যাবে। প্রকারন্তরে তিনি মমতাময়ী মায়ের খেতাবে ভূষিত হবেন।

অন্যান্য খবর