পশ্চিমবঙ্গের অন্য বড় শহরগুলির তুলনায় কলকাতা যৌন সম্পর্কের বিষয়ে অনেক উদার হয়ে উঠছে। রোববার সেক্সুয়াল প্যাটার্ন অ্যান্ড বিহেভিয়ার অব কলকাতা শীর্ষক এক আলোচনা চক্রে উঠে এলো এই কথা। কলকাতার ৫৫ শতাংশ তরুণ-তরুণী বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়েছেন। ২২ থেকে ৩৫ বছর বয়স্ক তরুণ-তরুণিরা, যাঁরা স্বনির্ভর, তাঁরা বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের ওপর বেশি আস্থাশীল। এমনকি, কম উপার্জনের তরুণ-তরুণিরাও বিবাহে আস্থা হারাচ্ছেন। এর জন্য হিন্দি এবং বাংলা টেলি সিরিয়ালের প্রভাবকে অনেকটা দায়ী করে সেমিনার স্বীকার করে নিয়েছে ডিভোর্স এর অনুপাতিক হারও এর একটা বড় কারণ।
যৌন সম্পর্কের অবনতি বা যৌন শীতলতার জন্য ডিভোর্সের হার প্রায় ২১ শতাংশে পৌঁছেছে আরবান কলকাতায়। এর ফলেও বিবাহে আগ্রহ কমছে।
৫৫ শতাংশের মধ্যে ৪৮ শতাংশ বিয়ের ক্ষেত্রে সেক্সুয়াল কমপাটিবিলিটিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ৭ শতাংশ আবার ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডে বিশ্বাসী। মনোবিদদের মতে পেশাগত জীবনের অত্যাধিক স্ট্রেস এবং স্ট্রেন এর জন্যে দায়ী। অতিমারি জীবন সম্পর্কে একটি কেয়ার ফ্রি মানসিকতার জন্ম দিয়েছে। তার ফলেও অনিত্যতা সম্পর্কে বিশ্বাসী হয়ে পড়ছে মানুষ এবং চিরন্তন বন্ধনে আর জড়াতে চাইছে না। বিস্ময়ের ব্যাপার যে ৫৫ শতাংশ বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কে বিশ্বাসী তাদের মধ্যে ২৬ শতাংশ অপেক্ষাকৃত ছোট শহর থেকে কলকাতায় এসেছে রুটি রুজির টানে। এদের কাছে বিয়ে মানে একটি নারীদেহ অথবা পুরুষদেহ ভোগ করার লাইসেন্স মাত্র। এঁদের কাছে বিয়ের আলাদা কোনও তাৎপর্য নেই। উত্তরাধিকার প্রশ্নেও এরা নির্বিকার।
Lutfullah Ansary
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১০:০৫মহা বিপদের কথা, এই যদি হয় আমাদের তথাকথিত সমাজ ব্যবস্থা। তাহলে আমরা আমাদের পরিবার এর কাছে লজ্জায় মুখ দেখানোর কোন উপায় থাকবেনা। বিদেশী টিভি চ্যানেল বিশেষ করে ভারতি সিরিয়াল নির্ভর চ্যানেল গুলি এই সমস্থ কাজে আমাদের জুবসমাজকে আরও উৎসাহিত করছে। তাই সময়ের দাবি এই সমস্থ টিভি চ্যানেল বন্ধ করা প্রয়োজন।