বার্বাডোজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্বস্তিতে নেই ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে লজ্জার রেকর্ড গড়ে ক্যারিবীয়দের কাছে পরাস্ত হয় ইংলিশরা। নিজেদের ইতিহাসে চতুর্থ দলীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ পায় এউইন মরগানের দল। দ্বিতীয় ম্যাচেও সফরকারীদের নাটকীয়ভাবে হারাতে নিয়েছিল উইন্ডিজরা। তবে শেষ ওভারে ছক্কা ঝড়ের পরও ১ রানে হেরে যায় তারা।
প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭১ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট হাতে ঢিমেতালে শুরু করা ক্যারিবিয়ানরা ৯৮ রানেই হারায় ৮ উইকেট। এরপর নবম উইকেটে তা-ব চালায় আকিল হোসেন ও রোমারিও শেফার্ড। ২৯ বলে গড়ে ৭২ রানের জুটি।
যার ২৯ রানই আসে শেষ ওভারে। ২০তম ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। ১ রানের আক্ষেপে পুড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৭১ রান তোলে ইংল্যান্ড। ওপেনার জেসন রয় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান (৩১ বলে)। এছাড়া মঈনের ব্যাটে ২৪ বলে ৩১, ক্রিস জর্ডান ১৫ বলে ২৭ ও টম বেন্টন ১৮ বলে ২৫ রান করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শূন্য রানে ফেরেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। ২ রান করে ফেরেন শাই হোপ। এরপর নিকোলাস পুরান ও ড্যারেন ব্রাভো মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। দুই ব্যাটার মিলে ৪১ রান করেন। পুরান ২৪ রানে আউট হলে ভাঙে জুটিটি। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় উইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। ৯৮ রানে ৮ উইকেট হারায় তারা।
সেখান থেকেই নাটকীয় প্রত্যাবর্তন করেন আকিল ও হোসেন ও রোমারিও। ২৮ বলে এক চার আর ৫ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন রোমারিও। আকিল হোসেন ১৬ বলেই করেন ৪৪, যে ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান ক্যারিবীয় এই লোয়ার অর্ডার।
মঈন আলী ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দুটি উইকেট নেন আদিল রশিদ। ১টি করে উইকেট পান টপ্লে ও জর্ডান।