দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে সিরিজ হাতছাড়া হয় ভারতের। সাদা পোশাকে কিঞ্চিৎ আলো ছড়ালেও ওয়ানডেতে যাচ্ছেতাই ভারতীয়রা। টানা দুই জয়ে সিরিজ জেতার পর এবার লোকেশ রাহুলের দলকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিলো প্রোটিয়ারা। আর এই জয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কমপক্ষে তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে এ নিয়ে ২০তম বারের মতো প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে প্রোটিয়ারা। এর আগে রেকর্ডটির একক মালিকানা ছিল পাকিস্তানের। ২০০৬-০৭ মৌসুমের পর এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত। সেবার ৪ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে দুদল।
নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এনিয়ে মোট পাঁচবার হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২বার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২বার এবং ২০১৯-২০ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় ভারতীয়রা।
দারুণ জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। আমাদের লক্ষ্য পূরণ হলো। আশা করি, এই জয়ে আমাদের সমর্থকদের পরিমাণ বেড়ে গেছে। দল হিসেবে দারুণ করছি আমরা। তবে নিজেদের আরো ভালো অবস্থানে যেতে হবে আমাদের।’
ওয়ানডে সিরিজের ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে পায়নি ভারত। বিশেষ করে রবীন্দ্র জাদেজা, হার্দিক পান্ডেদের মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডাররা ছিলেন না দলে। দলের ব্যর্থতার নেপথ্যে স্কোয়াডের ভারসাম্যহীনতার দোষ দেখছেন ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা দলের চিত্র বুঝতে পারছি। অবশ্যই এর বড় একটা অংশ নির্ভর করছে স্কোয়াডের ভারসাম্যের ওপর।’
অধিনায়ক লোকেশ রাহুল বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে ছয়, সাত এবং আট নম্বরে যারা আমাদের স্কোয়াডের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ব্যাটিং- বোলিং দুই জায়গায় বিকল্প তৈরি করে, তারা দলে অনুপস্থিত। আশা করি তারা দলে ফিরলে আমাদের গভীরতা বাড়বে এবং আমরা ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে পারব।’